বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারের সূচনা করে কলকাতার ব্রিগেড ময়দানে ফের স্বপ্নের ফেরিওয়ালা হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রাজ্যের মানুষকে স্বপ্ন দেখালেন নিজের ঢঙে। দিলেন ভুরি ভুরি প্রতিশ্রুতি। তবে তাতে শেষ পর্যন্ত বাংলার ভোটারের মন গলে কি না, জবাব মিলবে ২ মে ভোটগণনার পর।এদিন বেলা আড়াইটের কিছু পরে বক্তব্য শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী। বিজেপির রাজনৈতিক পরিকল্পনা নিয়ে একে একে বলতে শুরু করেন তিনি। প্রশ্ন তোলেন, স্বাধীনতার পর কিছুদিন বাংলা উন্নয়নের পথে এগোলেও কেন তার পর সব স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে। প্রতিশ্রুতি দেন, বাংলায় বিজেপি সরকার এলে ২০৪৭ সালে দেশ যখন স্বাধীনতার শতবর্ষ পালন করবে তখন ভারকে নেতৃত্ব দেবে বাংলা। কলকাতাকে দেশের সেরা শহর হিসাবে গড়ে তোলা হবে বলেও দাবি করেন তিনি। বলের আটকে থাকা কাজ আরও দ্রুত শেষ হবে। কলকাতা মুড়ে ফেলা হবে উড়ালপুল দিয়ে। এদিন মোদী বলেন, ‘বাংলা পরিবর্তনের জন্য দিদির ওপর ভরসা করেছিল। কিন্তু দিদি সেই আশা ভেঙে চুরমার করে দিয়েছেন। আমি দিদিকে অনেক দিন ধরে চিনি। আমি যে দিদিকে চিনতাম সেই দিদি এই দিদি নয়। তবে বাংলার মানুষের কাছে কৃতজ্ঞতা জানাবো যে তারা এখনো পরিবর্তনের আশা ছাড়েননি।’এদিনের সমাবেশ থেকে বাম কংগ্রেস জোটকেও কটাক্ষ করেন তিনি। বলেন, যে বামেরা বলত কংগ্রেসের কালো হাত ভেঙে দেও গুঁড়িয়ে দেও তারা এখন সেই কংগ্রেসেরই হাত ধরেছে। কংগ্রেসের কালো হাত ফর্সা হয়ে গেল না কি?বহিরাগত প্রসঙ্গেও তৃণমূলকে বেঁধেন তিনি। বলেন, কংগ্রেস কি এই রাজ্যে তৈরি হয়েছিল? সেই দল ভেঙেই তো দল বানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? বামপন্থীদের আদর্শই বা কোন দেশে তৈরি? তারা বহিরাগত নয়? আর শ্যামাপ্রসাদের আদর্শে তৈরি দলের লোকেরা বহিরাগত?এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করতেও শোনা যায় মোদীকে। বলেন, ‘যে স্কুটার চালিয়ে দিদি নবান্ন থেকে ফিরেছিলেন রাস্তায় পড়ে গেলে তো কেলেঙ্কারি হতো। যে রাজ্যে স্কুটার তৈরি হয়েছে তাকেই শত্রু বানিয়ে বসতেন।’ বলে রাখি, গত সপ্তাহে যে স্কুটারটি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চালিয়েছিলেন সেটি মোদীর রাজ্য গুজরাতে তৈরি।সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘খেলা হবে না। খেলা শেষ। খেল খতম। তৃণমূলের খেল খতম।’সঙ্গে তাঁকে শিল্পপতিদের বন্ধু বলাতেও কটাক্ষ করেন মোদী। তিনি বলেন, ‘আমি যাদের বন্ধু তাদের বাড়ি বানিয়ে দিয়েছি, শৌচাগার বানিয়ে দিয়েছি। তৃণমূল ভয় পাচ্ছে যে গরিব মানুষের নতুন বন্ধু এল কোথা থেকে’?