ব্রিগেডে দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১০ বছরের শাসনকালের তুমুল সমালোচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বললেন, ১০ বছরে বাংলার সাধারণ মানুষের পরিবর্তনের প্রত্যাশা তো পূরণ হয়ইনি। উলটে বাংলাকে আরও দারিদ্রের দিকে ঠেলে দিয়েছেন মমতা দিদি।এদিন মোদী বলেন, ‘বামপন্থীদের বিরুদ্ধে মমতা দিদি পরিবর্তনের স্লোগান দিয়েছিলেন। পশ্চিমবঙ্গে মা-মাটি-মানুষের জন্য কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। আপনারা বলুন, গত ১০ বছরে তৃণমূলের জমানায় সাধারণ বাঙালির জীবনে কি সেই পরিবর্তন এসেছে? গরিব আরও গরিব হোক সেই ব্যবস্থা করেছেন মমতা’। বলে রাখি, মোদীর বিরুদ্ধে ঠিক এই একই অভিযোগ বার বার করে থাকেন বিরোধীরা।উপস্থিত জনতাকে মোদীর প্রশ্ন, ‘পশ্চিমবঙ্গের হাসপাতাল ও স্কুলে কি কোনও বদল এসেছে? কর্মসংস্থানে কোনও পরিবর্তন এসেছে? শিল্পে কোনও পরিবর্তন এসেছে? দশকের পর দশক ধরে চলে আসা খুনোখুনির রাজনীতিতে কোনও বদল এসেছে কি? বাংলায় আজ মা – মাটি – মানুষের কী অবস্থা তা আপনারা ভাল করেই জানেন’। বাংলার মায়েদের করুণ অবস্থা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মায়েদের ওপর অলি – গলিতে আক্রমণ হয়। ঘরে ঢুকে মায়ের ওপর হামলা হয়। সম্প্রতি ৮০ বছরের মায়ের ওপর যা হয়েছে, যে নির্মমতা দেখা গিয়েছে, তা এদের নিষ্ঠুর চেহারা গোটা ভারতকে দেখিয়ে দিয়েছে। গত ১০ বছরে এমন কোনও মা নেই, এমন কোনও মেয়ে নেই যে অত্যাচারের শিকার হয়ে কাঁদেনি। কেউ যাতে প্রশ্ন না তুলতে পারে, সেজন্য এরা পরিসংখ্যানও লুকিয়ে রেখেছে’।তৃণমূলের স্লোগানের দ্বিতীয় ও তৃতীয় শব্দ তুলে ধরে মোদী দাবি করেন, ‘মাটির কথা যারা বলত তারা বাংলার প্রতিটি কণা দালাল, কালোবাজারি আর সিন্ডিকেটের হাতে তুলে দিয়েছে। বাংলার মানুষও ব্যতিব্যস্ত। তারা চোখের সামনে আপনজনকে রক্তাক্ত হতে দেখে। চোখের সামনে স্বজনকে সর্বশান্ত হতে দেখে। চোখের সামনে পরিজনদের চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে দেখেন। সুযোগের অভাবে আপনজনদের ভিনরাজ্যে চলে যেতে দেখেন। তাই গোটা বাংলা এখন এক স্বরে বলছে। আর নয় অন্যায়’।মোদীর দাবি, বিজেপি ক্ষমতায় এলে বাংলার সুদিন ফিরবে। বাংলা দুর্নীতিমুক্ত হবে। তৈরি হবে কর্মসংস্থান।