তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে এসেছেন বেশ কয়েকদিন হল। তৃণমূলে থাকা অবস্থায় বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন।এবার বিজেপি প্রার্থী হিসেবে প্রচারে নেমে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হল জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে। শুনতে হল 'গো ব্যাক' স্লোগান। 'লোহা চোর', 'কয়লা চোর'-ও শুনতে হল। জিতেন্দ্রর বিরুদ্ধে ওঠা এই স্লোগানকে রাজনৈতিক অ্যাডভান্টেজ হিসেবেই দেখছে তৃণমূল। তৃণমূল প্রার্থীর মতে, যেমন কাজ করেছেন, সেরকমই ফল পাচ্ছেন। দোলের পরেরদিন নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র পাণ্ডবেশ্বরে প্রচারে বেরিয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী জিতেন্দ্র তিওয়ারি।পাণ্ডবেশ্বরের ইছাপুর, আমলোকা, পাটশেওড়া-সহ বিভিন্ন এলাকায় রোড শো করেন জিতেন্দ্র। ইছাপুরে রোড শো যখন তৃণমূল পার্টি অফিসের সামনে দিয়ে যাচ্ছিল, তখন তাঁর ঘিরে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মীরা। 'গো ব্যাক' স্লোগান দেওয়া হয়। শেষপর্যন্ত পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। তবে তাঁকে ঘিরে এই বিক্ষোভকে মোটেও আমল দিতে রাজি নন জিতেন্দ্র। পাণ্ডবেশ্বরের বিজেপি প্রার্থী জিতেন্দ্র তিওয়ারি বলেন, ‘আমায় প্রার্থী করার জন্য বিজেপিকে ধন্যবাদ। যেখানে যাচ্ছি, সেখানেই মানুষের সাড়া পাচ্ছি।আমারই জয় হবে।’ এর পালটা জবাব দিয়েছেন পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল প্রার্থী নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। তিনি জানান, উনি অনেক মানুষের পিঠেই ছুরি মেরেছেন। এখন তার ফল পাচ্ছেন।আরও বিক্ষোভের মুখে পড়বেন। এর আগে তৃণমূলে থাকার সময়ও জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে প্রার্থী না করা নিয়ে পাণ্ডবেশ্বরে পোস্টার পড়েছিল।স্থানীয় এলাকায় জিতেন্দ্রর বিরুদ্ধেই ক্ষোভ দান বেঁধেছিল। প্রথমে একবার জিতেন্দ্র তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি শিবিরে গিয়েও ফের তৃণমূলে ফেরত এসেছিলেন। কিন্তু তিনি তৃণমূলে ফিরে বেশিদিন থাকেননি। শেষপর্যন্ত বিজেপি শিবিরেই ফিরে আসেন। প্রার্থীও হন।কিছুদিন আগে পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভা এলাকায় বোমা ফেটে এক তৃণমূল কর্মীর মৃত্যুর খবর সামনে আসে। এই ঘটনার পরই নিজে থেকেই মুখ খুলেছিলেন জিতেন্দ্র। তাঁর দাবি ছিল, তাঁকে মারার জন্যই নাকি তৃণমূলের কর্মীরা বোমা বাঁধছিলেন। তবে যেভাবে প্রচারে বেরিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে বিজেপি প্রার্থীকে, তাতে অস্বস্তিতে বিজেপি শিবির।