আজ বসিরহাট আদালতে জামিন চাইতে গিয়ে গ্রেফতার হন বিজেপি নেত্রী পিয়ালি দাস ওরফে মাম্পি দাস। তাঁকে সাতদিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কারণ তাঁর বিরুদ্ধেই মূল অভিযোগ উঠেছে। মহিলাদের জোর করে সাদা কাগজে সই করে মিথ্যে ধর্ষণের মামলা করা হয়েছে। বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে এই মামলার শুনানি ছিল।
Ad
বিজেপি নেতা গঙ্গাধর কয়াল
সন্দেশখালির বিজেপি নেতা গঙ্গাধর কয়ালের বিরুদ্ধে এখনই কোনও কড়া পদক্ষেপ নয়। আপাতত কোনও ব্যবস্থা নিতে পারবে না রাজ্য পুলিশ। মৌখিকভাবে এই কথাই আজ, মঙ্গলবার জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। গঙ্গাধর কয়ালের বিরুদ্ধে এখনই কোনও তদন্ত এগোবে না। এফআইআর যা হয়েছে তার উপর কোনও কড়া পদক্ষেপ করা হবে না বলে মৌখিকভাবে জানাল কলকাতা হাইকোর্ট। আজ এই মামলার শুনানি পিছিয়ে দিয়েছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। আগামী শুক্রবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।
এই গঙ্গাধর কয়াল প্রকাশ্যে আসে সন্দেশখালি নিয়ে দুটি স্টিং অপারেশন পর্ব–১ এবং পর্ব–২ সামনে আসার পর। প্রথম ভিডিয়ো’তে এই বিজেপি নেতা, গঙ্গাধর কয়ালকে বলতে শোনা যায়, সন্দেশখালির ঘটনা সাজানো। ধর্ষণের অভিযোগ মিথ্যে। আর দ্বিতীয় ভিডিয়ো’তে শোনা যায়, ৭২ জন মহিলাকে দু’হাজার টাকা দিয়ে ধর্ষণের মিথ্যে মামলা করানো হয়েছে। যদিও এই দুটি ভিডিয়ো যাচাই করে দেখেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা ডিজিটাল। এই ভিডিয়ো দুটি ভাইরাল হতেই চাপে পড়ে যায় গঙ্গাধর কয়াল। আর তাই কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।
বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে এই মামলার শুনানি ছিল। সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে গঙ্গাধর কয়ালের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন স্থানীয় বাসিন্দা শক্তিপদ রাউত। একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলায় এফআইআর হয় বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে। এই এফআইআরের উপর রক্ষাকবচ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন গঙ্গাধর কয়াল। তাঁর হয়ে আজ কলকাতা হাইকোর্টে সওয়াল করেন আইনজীবী জয়দীপ কর এবং বিল্বদল ভট্টাচার্য। বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত জানান, সন্দেশখালি মামলার তদন্ত প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চের নজরদারিতে চলছে। সিবিআই এই ঘটনার তদন্ত করছে। তাই এই আবেদনেরও শুনানি প্রধান বিচারপতি বেঞ্চে হওয়া উচিত।