শেষমুহূর্তে গিয়ে নয়, বরং সময় হাতে নিয়েই কর্ণাটকে প্রস্তুতি শুরু করলেন নরেন্দ্র মোদী। ভোটের ঢের আগেই নির্বাচনের বাদ্যিতে বাজিয়ে দিলেন। সরাসরি কংগ্রেসকে আক্রমণ করে প্রধানমন্ত্রী দাবি করলেন, এই মুহূর্তে মোদীর ‘কবর খোঁড়ার কাজে’ ব্যস্ত আছে শতাব্দীপ্রাচীন দল কংগ্রেস। সেখানে গরিবের উন্নয়নে ব্যস্ত আছেন মোদী।
আগামী ২৪ মে কর্ণাটক বিধানসভার মেয়াদ শেষ হতে চলেছে। অর্থাৎ বিধানসভা নির্বাচনের জন্য এখনও দু'মাস আছে। বিধানসভা ভোটের নির্ঘণ্টও ঘোষণা হয়নি। তবে ইতিমধ্যে জোরকদমে প্রচার শুরু করে দিয়েছে বিজেপি। একাধিকবার এসেছেন স্বয়ং মোদী। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছরই শুধুমাত্র ছ'বার কর্ণাটকে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী। ষষ্ঠবারের সফরে রবিবার দুটি জনসভা করেন।
রবিবার কর্ণাটকের হুব্বালি থেকে মোদী বলেন, ‘কংগ্রেস এবং সহযোগী (দলগুলি) কী করছে? মোদীর কবর খোঁড়ার স্বপ্ন দেখছে কংগ্রেস। মোদীর কবর খুঁড়তে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে কংগ্রেস। আর মোদী বেঙ্গালুরু-মাইসুরু এক্সপ্রেসওয়ে তৈরির কাজে ব্যস্ত আছে। কংগ্রেস মোদীর কবর খুঁড়তে ব্যস্ত আছে আর মোদী গরিবের জীবন সহজ করার চেষ্টায় ব্যস্ত আছে।’
রাহুলকে খোঁচা মোদীর
ভারতের গণতন্ত্র নিয়ে লন্ডনে রাহুল যে কথা বলেছিলেন, তা নিয়ে রবিবার ঘুরিয়ে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি তথা কংগ্রেস সাংসদকে আক্রমণ শানান মোদী। তিনি দাবি করেন, বিশ্বের কোনও শক্তি ভারতের গণতান্ত্রিক ঐতিহ্যকে ধ্বংস করতে পারবে না। বরং লন্ডনে রাহুল যে বক্তব্য পেশ করেছিলেন, তাতে দ্বাদশ শতকের সমাজ সংস্কারক বাসবেশ্বরার অপমান হয়েছে।
মোদীর কথায়, 'লন্ডনে শ্রী বাসবেশ্বরার মূর্তি আছে। কিন্তু এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক যে সেই লন্ডন থেকেই ভারতের গণতন্ত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। ভারতের গণতন্ত্রের যে মূল আছে, সেটিকে আমরা শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে লালন-পালন করেছি। ভারতের যে গণতান্ত্রিক ঐতিহ্য আছে, তা বিশ্বের কোনও শক্তি ধ্বংস করতে পারবে না।'
উল্লেখ্য, লন্ডনে রাহুল বলেছিলেন, 'আমাদের (সংসদে) যে মাইকগুলি আছে, সেগুলি অকেজো নয়। সেগুলি কাজ করে। কিন্তু আপনি সেগুলি চালু করতে পারবেন না। আমি যখন কথা বলি, তখন একাধিকবার এই ঘটনা ঘটেছে (অর্থাৎ মাইক বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে)।'
কিন্তু রাহুলকে আক্রমণ করতে গিয়ে বাসবেশ্বরার নাম কেন বিশেষভাবে উল্লেখ করলেন মোদী? রাজনৈতিক মহলের মতে, বিষয়টির সঙ্গে রাজনীতির যোগ আছে। যে রাজ্যের মাটি থেকে নাম না করে রাহুলকে আক্রমণ শানিয়েছেন মোদী, সেটা বাসবেশ্বরার মাটি। তিনি কর্ণাটকের অন্যতম জনপ্রিয় সমাজ সংস্কারক ছিলেন। এখনও তাঁর প্রতি কর্ণাটকের মানুষের বিশেষ শ্রদ্ধা-সম্মান আছে। সেইসঙ্গে কর্ণাটকের শক্তিশালী লিঙ্গায়েত সম্প্রদায়ের মানুষরা তাঁকে অত্যন্ত শ্রদ্ধা করেন। সেই পরিস্থিতিতে বাসশ্বেরার নাম উত্থাপন করে এক ঢিলে মোদী একাধিক পাখি মারার চেষ্টা করেছেন বলে সংশ্লিষ্ট মহলের মত।
(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক )