আগামিকাল (বুধবার) পুদুচেরিতে আসছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। তার আগেরদিনই ইস্তফা দিলেন কংগ্রেস বিধায়ক এ জন কুমার। তার জেরে বিধানসভা ভোটের আগে পুদুচেরিতে সংখ্যালঘু হয়ে পড়ল কংগ্রেস সরকার। তার ফলে ব্যালট বাক্সে ভাগ্যপরীক্ষার আগেই ভি নারায়ণস্বামীর সরকার পড়ে যাওয়ার একটা আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।সেই টলমল অবস্থা অবশ্য আগে থেকেই চলছিল। নয়া বছরের প্রথম মাসেই ইস্তফা দেন কংগ্রেস সরকারের দুই মন্ত্রী এ নমসসিবায়ম এবং ই থিপাপেনদান। যোগ দেন বিজেপিতে। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই সোমবার ইস্তফা দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মাল্লাদি কৃষ্ণা রাও। পরদিনই জনের ইস্তফার ফলে পুদচেরিতে কংগ্রেস বিধায়কের সংখ্যা কমে দাঁড়াল ১০। তার আগে দলবিরোধী কার্যকলাপের জন্য গত বছর জুলাই কংগ্রেস থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন বিধায়ক এ ধানাভেলু। এমনিতে ২০১৬ সালের নির্বাচনে ৩০ টি আসন-বিশিষ্ট পুদুচেরিতে ১৫ টি আসনে জয়লাভ করেছিল কংগ্রেস। সমর্থন দেন ডিএমকের তিনজন এবং একজন নির্দল বিধায়ক। কিন্তু নির্দল বিধাযক এবং ডিএমকের সমর্থন নিয়ে এখন কংগ্রেস সরকারের হাতে আছে ১৪ জন। অন্যদিকে বিরোধী এআইএডিএমক এবং অল ইন্ডিয়া এনআর কংগ্রেসের দখলে আছে যথাক্রমে চারটি এবং সাতটি আসন। সঙ্গে বিধানসভায় বিজেপির তিনজন মনোনীত সদস্য আছেন। তার জেরে স্বভাবতই ভোটের মাত্র মাসদেড়েক আগে পুদুচেরিতে কংগ্রেস সরকারে সংকট তৈরি হয়েছে।বিশেষত আগামিকাল (বুধবার) পুদুচেরিতে একটি জনসভা করবেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল। তাঁর সফরের ঠিক আগে দুই কংগ্রেস বিধায়ক ইস্তফার ফলে হাত শিবিরে বড়সড় ধাক্কা লাগবে বলে রাজনৈতিক মহলের মত।