ভারতীয় দলের টেস্ট অধিনায়ক করা হয়েছে শুভমন গিলকে। তবে অনেকেই তরুণ এই ক্রিকেটারের দলের অধিনায়ক হওয়ার বিষয়টি মেনে নিতে পারছেন না। কারণ অনেকেই মনে করছেন, ভারতীয় দলে আরও অনেক ভালো পারফর্মাররা রয়েছে যারাও টেস্ট অধিনায়ক বা ভারতীয় দলের পরবর্তী সব ফরম্যাটের অধিনায়ক হওয়ার যোগ্য। এর মধ্যে সব থেকে জোরালোভাবে যে নাম রয়েছে, তা হল শ্রেয়স আইয়ারের। তিনি ২০২০ সালে দিল্লি ক্যাপিটালসকে আইপিএল ফাইনালে তোলার পর ২০২৪ আইপিএলে কেকেআরকে চ্যাম্পিয়ন করেন। এবারেও পঞ্জাবকে আইপিএল ফাইনালে তুলেছেন। এ তো গেল, আইপিএলের কথা। যদি সামগ্রিক পারফরমেন্স দেখা যায়, তাহলে ২০২৩ ওডিআই বিশ্বকাপ বা ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও শ্রেয়স আইয়ারের পারফরমেন্স ভালোই ছিল।
তবুও ভারতীয় দলের ১৯৮৩র বিশ্বকাপজয়ী সদস্য সুনীল গাভাসকর একদমই খুশি নন শ্রেয়স আইয়ারের অধিনায়ক হওয়ার জল্পনা ছড়ানোয়। ২৬.৭৫ কোটি টাকায় পঞ্জাব কিংসে যাওয়ার পর ১১ বছর বাদে তাঁদের আইপিএলের ফাইনালে তুললেও, তাই বলে শ্রেয়সকে ভারতের অধিনায়ক করা উচিত, এই বিষয়টি একদমই মেনে নিচ্ছেন না সানি। প্রসঙ্গত কোয়ালিফায়ার টুু-তে শ্রেয়স আইয়ার ৪১ বলে ৮৭ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলার পাশাপাশি এবারের আইপিএলে ৬০০র বেশি রানও করেছেন।
তবে সুনীল গাভাসকর মনে করছেন, অযথা শুভমন গিলের ওপর চাপ দেওয়ার কোনও মানেই নেই, বরং তাঁকে যখন টেস্ট অধিনায়ক করা হয়েছে, তখন তাঁকে সবার সমর্থন করা উচিত। তিনি বলছেন, ‘আগে আমাদের দেখতে হবে শুভমন গিলের দিকে, যে এই মূহূর্তে ভারতের টেস্ট ক্যাপ্টেন। ওকে সুযোগ দিতে হবে। আমরা যদি এসব নিয়ে এত কথা বলি, তাহলে অযথা সেটা শুভমন গিলের ওপর চাপ তৈরি করবে। ইংল্যান্ড সফরের আগে তাই শুভমনের ওপর এমন চাপ তৈরির কোনও দরকারই নেই। আগে বুঝতে হবে সবাইকে, যে শ্রেয়স তো ভারতীয় দলেও নেই। তাই তাঁকে ভারতের পরবর্তী অধিনায়ক করার কথা বলাই এখন উচিত নয় ’।
সুনীলের কথায়, ‘যখন শ্রেয়স দলে ফিরবে, তখন ভাবা যেতে পারে যে ওকে অধিনায়ক করা উচিত কি না। কিন্তু আমাদের অগাধ আস্থা রাখতে হবে শুভমন গিলের ওপর। ও সবেমাত্র ভারতের টেস্ট অধিনায়ক হয়েছে। তাই ওর মনে ভীতি তৈরি করা উচিত নয়, যে শ্রেয়স আইয়ার রয়েছে অধিনায়ক হওয়ার জন্য ’।