শুভব্রত মুখার্জি:- ভারতীয় ঘরোয়া ক্রিকেট হোক কিংবা ইন্ডিয়ান প্রিমিয়র লিগ অর্থাৎ আইপিএলের হাত ধরে ভারতীয় ক্রিকেটে একাধিক ক্রিকেটার উঠে এসেছেন। ভারতীয় ক্রিকেটের ঘরোয়া ক্রিকেট সহ আইপিএল এই মুহূর্তে রীতিমতো তারকা তৈরির সাপ্লাইলাইন হয়ে উঠেছে। একাধিক তারকা ইতিমধ্যেই এই চ্যানেল দিয়ে উঠে এসে জাতীয় দলে জায়গা করে নিয়েছেন। তাদের মধ্যে অন্যতম বাঁহাতি ব্যাটার সাই সুদর্শন। গত দুটি আইপিএলে তিনি বেশ ভালো পারফরম্যান্স করেছেন। আর সেই পারফরম্যান্সের পুরস্কারস্বরূপ সাই সুদর্শন প্রথমবার জায়গা করে নিয়েছেন ভারতীয় স্কোয়াডে। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ওডিআই দলে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। রবিবার জোহানেসবার্গে প্রথম ওয়ানডেতে ভারতীয় দলের হয়ে অভিষেকও হয়ে গিয়েছে তাঁর। আর এর মধ্যে দিয়েই ভারতের হয়ে নজিরগড়া ক্রিকেটারদের এক তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন তিনি।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সব ফর্ম্যাট মিলিয়ে ভারতের হয়ে খেলা ৪০০ তম ক্রিকেটার হওয়ার নজির গড়েছেন সাই সুদর্শন। উল্লেখ্য এই তালিকায় প্রথমে রয়েছেন বালু গুপ্তে। ১৯৬১ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তিনি ভারতের হয়ে খেলা শততম ক্রিকেটার হিসেবে নজির গড়েছিলেন। ১৯৯০ সালে ভারতের হয়ে খেলা ২০০ তম ক্রিকেটার হওয়ার নজির গড়েছিলেন গুরশরন সিং। ২০০৮ সালে ভারতের হয়ে ৩০০তম ক্রিকেটার হিসেবে খেলার কৃতিত্ব অর্জন করেন পেসার মনপ্রীত গোনি। ঘটনাচক্রে আইপিএল শুরু হওয়ার পরে মনপ্রীত গোনি হল প্রথম ক্রিকেটার যার ভারতের হয়ে অভিষেক হয়েছিল। ফলে এক বিরল কৃতিত্বও অর্জন করেছিলেন তিনি। আর রবিবার জোহানেসবার্গে সেই তালিকায় ঢুকে পড়েছেন সাই সুদর্শন। তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভারতের হয়ে ৪০০তম ক্রিকেটার হিসেবে এদিন ২২ গজে খেলতে নামেন।
ভারতের হয়ে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই ব্যাট হাতে নজর কেড়েছেন সাই সুদর্শন। প্রসঙ্গত আইপিএলে তিনি খেলেন গুজরাট টাইটানস ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে। গত আইপিএলের ফাইনালেও গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। এদিন জোহানেসবার্গে দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের বিরুদ্ধে ব্যাট হাতে বেশ সাবলীল দেখিয়েছে সাই সুদর্শনকে। তাঁর ব্যাটিং দেখে অন্ততপক্ষে বোঝার উপায় ছিল না যে তিনি তাঁর অভিষেক ম্যাচে খেলছেন। অপরাজিত ৫৫ রানের একটি দুরন্ত ইনিংস খেলেন তিনি। মাত্র ৪৩ বলে অর্ধশতরানের ইনিংস খেলে ভারতের জয় নিশ্চিত করেন তিনি। তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল নয়টি চারে। দক্ষিণ আফ্রিকার দেওয়া ১১৭ রানের জয়ের লক্ষ্য তাড়া করার সময়ে ভারতের হয়ে শ্রেয়স আইয়ারকে সঙ্গী করে দ্বিতীয় উইকেটে তিনি যোগ করেন ৮৮ রান। এরপর আইয়ার আউট হয়ে গেলেও তিনি অপরাজিত থেকে ২০০ বল বাকি থাকতে আট উইকেট হাতে নিয়ে ম্যাচ জয় নিশ্চিত করেন তিনি।