শনিবার নিজেদের ঘরের মাঠে গুজরাট টাইটান্সকে হারিয়ে বড় অক্সিজেন পেলেন বিরাট কোহলিরা। এই নিয়ে জয়ের হ্য়াটট্রিক করে, প্লে-অফের ইঁদুর দৌড়ে ফিরে এল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। এদিন প্রথমে ব্যাট করে গুজরাট ১৪৭ রান করে। জবাবে ১৩.৪ ওভারে ৬ উইকেটে ১৫২ করে ফেলে আরসিবি। এদিনের জয়ের পর এক লাফে আইপিএলের পয়েন্ট তালিকায় ১০ থেকে সাত নম্বরে উঠে এলেন বিরাট কোহলিরা।
শনিবার টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বড় ধাক্কা খায় গুজরাট টাইটান্স। মাত্র ১৯ রানের মধ্যেই তারা তিন উইকেট হারিয়ে বসে থাকে। দুই ওপেনার ঋদ্ধিমান সাহা (৭ বলে ১) এবং শুভমন গিলকে (৭ বলে ২) ফেরান মহম্মদ সিরাজ। তিনে ব্যাট করতে আসা সাই সুদর্শন (১৪ বলে ৬) আবার ক্যামেরন গ্রিনের বলে কোহলির হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। চতুর্থ উইকেটে শাহরুখ খান এবং ডেভিড মিলার মিলে কিছুটা হাল ধরার চেষ্টা করেছিলেন। তাঁরা ৬১ রান যোগও করেছিলেন। তবে ৩টি চার এবং ২টি ছক্কার সৌজন্যে ২০ বলে ৩০ করে আউট হয়ে যান মিলার। তাঁকে ফেরান করন শর্মা। শাহরুখ খান ২৪ বলে ৩৭ করে রানআউট হন। তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল ৫টি চার, একটি ছক্কায়।
আরও পড়ুন: KKR-এর বিরুদ্ধে কেন রোহিতকে একাদশে রাখা হয়নি? কারণ খোলসা করলেন পিযূষ চাওলা
এছাড়া ছয়ে ব্যাট করতে নেমে রাহুল তেওয়াটিয়া ৫টি চার, একটি ছক্কার হাত ধরে ২১ বলে ৩৫ রান করেন। বাকিদের হাল তথৈবচ। ১৪ বলে ১৮ করেন রশিদ খান। ৭ বলে ১০ করেন বিজয় শঙ্কর। এর বাইরে কেউ আর দুই অঙ্কের ঘরেই পৌঁছতে পারেননি। ১৯.৩ ওভারে ১৪৭ রানেই অলআউট হয়ে যায় গুজরাট। তারা ১৫০ রানের গণ্ডিও টপকাতে পারেনি। আরসিবি-র হয়ে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন সিরাজ, যশ দয়াল এবং বিজয়কুমার। ১টি করে উইকেট নিয়েছেন ক্যামেরন গ্রিন এবং করন শর্মা।
আরও পড়ুন: ওয়াংখেড়েতে ১২ বছরের শাপমুক্তি, স্টার্ক-নারিনের জাদুতে মুম্বইকে হারিয়ে প্লে-অফের দিকে এগোল নাইটরা
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই বিধ্বংসী মেজাজে ছিল আরসিবি। তাদের দুই ওপেনার মিলেই প্রথম উইকেটে ৫.৫ ওভারে ৯২ রান করে ফেলে। এতেই জয়ের ভিত মজবুত হয়ে যায় বেঙ্গালুরুর। ২৩ বলে ঝোড়ো মেজাজে ৬৪ করেন ফ্যাফ ডু'প্লেসি। তাঁর ইনিংসে ছিল ১০টি চার, তিনটি ছক্কা। সেখান থেকে ৫৬ রান করতে গিয়ে অবশ্য ছয় উইকেট হারিয়ে বসে আরসিবি। মিডল অর্ডার চূড়ান্ত ব্যর্থ। জোশ লিটলের দাপটে রজত পতিদার (৩ বলে ২), গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (৩ বলে ৪), ক্যামেরন গ্রিন (২ বলে ১) চূড়ান্ত নিরাশ করে সাজঘরে ফেরেন। তার আগে নুর আহমেদের বলে ১ করে (৩ বলে) আউট হয়েছেন উইল জ্যাকস। বিরাট কোহলিকেও আউট করেছেন নুর। কোহলি ২টি চার এবং চারটি ছক্কার হাত ধরে ২৭ বলে ৪২ করে সাজঘরে ফিরে যান। এই ভাবে পরপর উইকেট হারিয়ে কিন্তু কেঁপে গিয়েছিল আরসিবি।