আর কয়েকদিন পরই শুরু হয়ে যাচ্ছে দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ, অলিম্পিক্স । প্যারিসে এবারে বসতে চলেছে অলিম্পিক গেমসের আসর। ইতিমধ্যেই ভারতীয় প্রতিযোগিরা নিজের মতো করেই প্রস্তুতি নিচ্ছেন অলিম্পিক্সের আগে। অধিকাংশ প্রতিযোগি দেশের বাইরে অনুশীলন করছেন। বিশেষ ট্রেনিং নিয়ে সরাসরি প্যারিস গেমসে নামতে মরিয়া তাঁরা। গতবার টোকিও অলিম্পিক্সে ভারতের বিজয়ধ্বজা উড়িয়ে ছিলেন নীরজ চোপড়া। জ্যাভলিন থ্রোতে দেশকে এনে দিয়েছিলেন স্বর্ণ পদক। এর আগে কখনই ভারতীয় কোনও ক্রীড়াবিদ ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড ইভেন্টে সোনা জিততে পারেননি, নীরজই প্রথম যিনি এই কৃতিত্ব অর্জন করেন। প্যারিস অলিম্পিক্সে নামার আগে নীরজের কাছে প্রশ্ন উড়ে আসে, দেশে কি তিনি বিরাট-ধোনিদের মতোই জনপ্রিয়? হাসি মুখেই দিলেন কঠিন প্রশ্নের উত্তর। উল্লেখ্য বিরাট বা ধোনিদের তুলনায় নীরজ চোপড়ার কৃতিত্ব কম নয়, কারণ তিনিও বিরাট-ধোনির মতোই ভারতের সোনার ছেলে।
আরও পড়ুন-‘২৪ রান দেওয়ার পর ভেবেছিলাম সব শেষ’! রোহিতের পেপ টকেই বদলে যায় চিত্র…ফাঁস অক্ষরের
ভারতীয় ক্রিকেট দল এখনও পর্যন্ত বিশ্বকাপ জিতেছে মোট চারবার। দুটি ওডিআই বিশ্বকাপ এসেছে কপিল দেব এবং মহেন্দ্র সিং ধোনির হাত ধরে। দুটি টি২০ বিশ্বকাপ এসেছেন ধোনি এবং রোহিত শর্মার হাত ধরে। সচিন তেন্ডুলকর, বিরাট কোহলিরা ভারতীয় ক্রীড়ামহলে অন্য আসনে বসেন। তাঁদের জনপ্রিয়তার ধারে কাছে ভারতের খুব কম ক্রীড়াবিদই রয়েছে। সেই নিয়েই নীরজ এবার জানালেন, তিনি নিজেকে ঠিক কোন জায়গায় রাখেন।
আরও পড়ুন-ওডিআই বিশ্বকাপে পারফর্ম করেও ব্রাত্য! শ্রীলঙ্কা সিরিজে সুযোগ পেয়ে জবাব রাহুলের…
নীরজ চোপড়া নিজের ফ্যান ফলোয়িং নিয়ে বলছেন, ‘ডায়মন্ড লিগের সময় আমায় প্রশ্ন করা হয়েছিল, ভারতে আমি কতটা জনপ্রিয়? আমি কখনই নিজেকে মহেন্দ্র সিং ধোনি বা বিরাট কোহলির সঙ্গে তুলনা করিনা, কারণ আমি জানি বাস্তব সম্পর্কে। এটা ঠিক যে অলিম্পিক্সের পর অনেকেই আমাকে চিনেছে, তবে ক্রিকেটারদের সঙ্গে সেই জনপ্রিয়তার অনেক পার্থক্য আছে, সেটাও আমি জানি। ক্রিকেট ভারতের প্রতি অলি-গলিতে খেলা হয়, দেশের সব জায়গায় তো আর জ্যাভলিন থ্রো প্যাকটিস করা হয় না ’।
নীরজ আরও বলেন, ‘আমি কখনই কোনও শর্টকাট কাজে লাগিয়ে নিজের খেলাকে জনপ্রীয় করতে চাইনা, সব সময়ই চেষ্টা করে কঠোর পরিশ্রম দিয়েই মন জেতার। ভারতেও যদি জ্যাভলিন থ্রোয়ের বিভিন্ন প্রতিযোগিতা হয়, তাহলে এই খেলাও মানুষের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠবে। জাতীয় স্তরে প্রতিযোগিতা হওয়া উচিত, প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের উদ্বুদ্ধ করার জন্য ’।