দুই পান্ডের ধুন্ধুমার ডুয়েল দেখা গেল সুরাটে রঞ্জি ট্রফির এলিট-সি গ্রুপের ম্যাচে। রেলওয়েজের ২৫ বছরের বাঁ-হাতি স্পিনার অক্ষয় পান্ডের লড়াই কুর্নিশ আদায় করে নিলেও শেষ হাসি হাসেন মণীশ পান্ডে। কর্ণাটকের তারকা ব্যাটার নিজের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে দলকে রুদ্ধশ্বাস জয় এনে দেন। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, হাতে ৯টি সেলাই নিয়ে যেভাবে লড়াই চালান মণীশ, তাকে অবিশ্বাস্য বলা ছাড়া উপায় নেই।
সুরাটের কর্ণাটক বনাম রেলওয়েজ ম্যাচে আগাগোড়া দাপট দেখা যায় বোলারদের। তবে তার মাঝেও ব্যাট হাতে অনবদ্য পারফর্ম্যান্স উপহার দেন দু'দলের হাতে গোনা কয়েকজন। যদিও তাঁদের মধ্যে মণীশের কৃতিত্ব যে অনেক বেশি, সেটা বোঝা যায় পিচের চরিত্রের দিকে তাকালেই। যে বাইশগজে রেলওয়েজের অক্ষয় দুই ইনিংসেই ৫ উইকেট দখল করেন, যেখানে দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করেন কর্ণাটকের বিজয়কুমার বৈশাক, সেখানে শেষ ইনিংসের ভাঙা পিচে টেল এন্ডারদের নিয়ে লড়াই সহজ নয় মোটেও।
টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে রেলওয়েজ তাদের প্রথম ইনিংসে অল-আউট হয় ১৫৫ রানে। ক্যাপ্টেন প্রথম সিং ৫৬ রান করেন। ৪৫ রান করেন মহম্মদ সইফ। কর্ণাটকের বাসুকি কৌশিক ও হার্দিক রাজ ৩টি করে উইকেট নেন। ২টি করে উইকেট দখল করেন বিদ্বথ কাভেরাপ্পা ও বিজয়কুমার বৈশাক।
পালটা ব্যাট করতে নেমে কর্ণাটক তাদের প্রথম ইনিংসে তোলে ১৭৪ রান। তাদের কোনও ব্যাটারই ৩০ রানের গণ্ডি টপকাতে পারেননি। রবিকুমার সামর্থ ২২, দেগা নিশ্চল ২০, কেভি অনীশ ২৭, মণীশ পান্ডে ১৮, শ্রীনিবাস শরৎ ২৪ ও বিজয়কুমার বৈশাক ২৪ রান করেন। রেলওয়েজের অক্ষয় পান্ডে ৫টি ও অয়ন চৌধরী ৪টি উইকেট নেন।
প্রথম ইনিংসের নিরিখে ১৯ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে রেলওয়েজ। তারা ২৪৪ রানে অল-আউট হয়। মহম্মদ সইফ ৮২ ও সুরজ আহুজা ৪৮ রান করেন। বিজয়কুমার বৈশাক ৫টি ও বিদ্বথ কাভেরাপ্পা ২টি উইকেট নেন।
জয়ের জন্য কর্ণাটকের সামনে লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ২২৬ রানের। শেষ ইনিংসে একসময় ৯৯ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বসে কর্ণাটক। তারা ৭ উইকেট হারায় দলগত ১৩৩ রানে। শেষমেশ মণীশ পান্ডের চোয়ালচাপা লড়াইয়ে কর্ণাটক ১ উইকেটের সংক্ষিপ্ত ব্যবধানে ম্যাচ জিতে যায়। তারা ৯ উইকেটে ২২৯ রান তুল জয় নিশ্চিত করে।
মণীশ ৬টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ১২১ বলে ৬৭ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে নট-আউট থাকেন। বিজয়কুমার বৈশাক করেন ৩৮ রান। রেলওয়েজের অক্ষয় পান্ডে দ্বিতীয় ইনিংসেও ৫ উইকেট দখল করেন। যদিও ম্যাচের সেরা হন মণীশ।