আক্ষরিক অর্থেই তীরে এসে তরী ডুবল হার্দিক পান্ডিয়ার। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের একটি বিরাট রেকর্ড ভেঙে দেওয়ার সুযোগ ছিল হার্দিকের সামনে। ভাঙা তো দূরের কথা, পান্ডিয়া এক্ষেত্রে ছুঁতেই পারলেন না সৌরভকে। তাঁকে আপাতত তালিকার দ্বিতীয় স্থানেই থেকে যেতে হয়।
আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে এখনও পর্যন্ত সব থেকে বেশি ছয় মারার বিশ্বরেকর্ড রয়েছে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নামে। সৌরভ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে মোট ১৭টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন। তিনি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ১৩টি ম্যাচের ১১টি ইনিংসে ব্যাট করে এমন কৃতিত্ব অর্জন করেন।
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ২০০৪ সালে শেষবার আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে মাঠে নামেন। সুতরাং, তাঁর সেই রেকর্ড অটুট রয়েছে দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে। রবিবার নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে মাঠে নেমে সৌরভের ২১ বছরের পুরনো বিশ্বরেকর্ড ভেঙে দিতে পারতেন হার্দিক পান্ডিয়া। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ফাইনালে ২টি ছক্কা মারলেই সৌরভের রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলতেন পান্ডিয়া। ৩টি ছক্কা হাঁকালে সৌরভের বিশ্বরেকর্ড ছিনিয়ে নিতেন তিনি।
তবে রবিবার দুবাইয়ে ১টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ১৮ বলে ১৮ রান করে আউট হয়ে বসেন পান্ডিয়া। ফলে আপাতত বিশ্বরেকর্ড অধরা থেকে যায় তাঁর। মিনি বিশ্বকাপের ইতিহাসে সব থেকে বেশি ছক্কা মারার নিরিখে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থেকে যান হার্দিক। তিনি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মোট ১০টি ম্যাচে মাঠে নেমেছেন। মোট ৭টি ইনিংসে ব্যাট করে হার্দিক ছক্কা হাঁকিয়েছেন ১৬টি।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে সব থেকে বেশি ছক্কা হাঁকানো ৬ ব্যাটার
১. সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (ভারত)- ১১টি ইনিংসে ১৭টি ছক্কা।
২. হার্দিক পান্ডিয়া (ভারত)- ৭টি ইনিংসে ১৬টি ছক্কা।
৩. ক্রিস গেইল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)- ১৭টি ইনিংসে ১৫টি ছক্কা।
৪. ডেভিড মিলার (দক্ষিণ আফ্রিকা)- ১০টি ইনিংসে ১৪টি ছক্কা।
৫. ইয়ন মর্গ্যান (ইংল্যান্ড)- ১৩টি ইনিংসে ১৪টি ছক্কা।
৬. রোহিত শর্মা (ভারত)- ১৫টি ইনিংসে ১৪টি ছক্কা।
হার্দিক পান্ডিয়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫-এর ৪টি ইনিংসে ব্যাট করেতে নামেন। লোয়ার মিডল অর্ডারে ব্যাট করে তিনি ২৪.৭৫ গড়ে সাকুল্যে ৯৯ রান সংগ্রহ করেছেন। ১০৬.৪৫ স্ট্রাইক-রেটে রান সংগ্রহ করেছেন পান্ডিয়া। তিনি চার মেরেছেন ৭টি এবং ছক্কা হাঁকিয়েছেন ৬টি। সেই সঙ্গে ৫টি ইনিংসে বল করে সাকুল্যে ৪টি উইকেট নিয়েছেন পান্ডিয়া।