রুতুরাজ গায়কোয়াড় এই মুহূর্তে জাতীয় দলের হয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টি-২০ সিরিজ খেলতে ব্যস্ত। এদিকে ঘরোয়া ক্রিকেটে তাঁর সর্বকালীন একটি রেকর্ড ভেঙে দিলেন অঙ্কিত বাউনি। শুক্রবার বিজয় হাজারে ট্রফিতে দুরন্ত শতরানের সুবাদে রুতুকে টপকে অনবদ্য নজির গড়েন মহারাষ্ট্রের অঙ্কিত।
আসলে বিজয় হাজারে ট্রফির ইতিহাসে সব থেকে বেশি সেঞ্চুরি করার সর্বকালীন রেকর্ড গড়েন অঙ্কিত বাউনি। এদিন হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ১২টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ১০৮ বলে ১১৩ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন তিনি। ফলে জাতীয় ওয়ান ডে টুর্নামেন্টের ইতিহাসে তাঁর সেঞ্চুরির সংখ্যা দাঁড়ায় ১৩টি। রুতুরাজ গায়কোয়াড় বিজয় হাজারে ট্রফির ইতিহাসে মোট ১২টি শতরান করেছেন।
বিজয় হাজারে ট্রফিতে সব থেকে বেশি সেঞ্চুরি করা ব্যাটসম্যানদের তালিকায় রুতুরাজ আপাতত দ্বিতীয় স্থানে পিছিয়ে যান। এই তালিকায় তিন নম্বরে পিছলে যান রবিন উথাপ্পা। তিনি বিজয় হাজার ট্রফির ইতিহাসে মোট ১১টি ব্যক্তিগত শতরান করেছেন।
বিজয় হাজারে ট্রফির ইতিহাসে সব থেকে বেশি ব্যক্তিগত শতরান:-
১. অঙ্কিত বাউনি- ১৩টি সেঞ্চুরি।
২. রুতুরাজ গায়কোয়াড়- ১২টি সেঞ্চুরি।
৩. রবিন উথাপ্পা- ১১টি সেঞ্চুরি।
৪. যশপাল সিং- ১০টি সেঞ্চুরি।
৫. দীনেশ কার্তিক, শেলডন জ্যাকসন, অভিনব মুকুন্দ- ৯টি করে সেঞ্চুরি।
মহারাষ্ট্র বনাম হায়দরাবাদ ম্যাচের গতিপ্রকৃতি:-
শুক্রবার জয়পুরে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে হায়দরাবাদ। তারা নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ৩১৫ রান তোলে। তন্ময় আগরওয়াল ৯টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ১১৭ বলে ১০৩ রান করেন। রাহুল সিং ৬৯, রাহুল বুদ্ধি অপরাজিত ৫৮ ও রবি তেজা অপরাজিত ৫১ রান করেন। হায়দরাবাদের প্রথম ৩ জন ব্যাটার রান-আউট হয়ে মাঠ ছাড়েন। ১টি করে উইকেট নেন মহারাষ্ট্রের কৌশল তাম্বে ও কেদার যাদব।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে মহারাষ্ট্র ৪৯.৪ ওভারে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ৩১৬ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। অঙ্কিতের শতরান ছাড়া আজিম কাজি ৮০, কৌশল তাম্বে ৩৮ ও নিখিল নায়েক ২১ রান করে আউট হন। ক্যাপ্টেন কেদার যাদব ৪টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ১৭ বলে ৩২ রান করে নট-আউট থাকেন। হায়দরাবাদের কার্তিকেয়া ৬০ রানের বিনিময়ে ৫টি উইকেট দখল করেন। ১টি করে উইকেট নেন রক্ষণ রেড্ডি ও তনয় ত্যাগরাজন।