প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করল রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ার জন্য ২০১৪ সালে টেট উত্তীর্ণ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রার্থীরাই আবেদন করতে পারবেন। আগামীকাল অর্থাৎ বুধবার (২৫ নভেম্বর) থেকেই শুরু হচ্ছে আবেদন জমা নেওয়ার প্রক্রিয়া। পুরো প্রক্রিয়াটিই হবে অনলাইনে। আগামী ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আবেদন জমা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলবে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, যে প্রার্থীরা চূড়ান্ত বর্ষের প্রশিক্ষণ হওয়ার জন্য পরীক্ষা দিয়েছেন। তাঁরাও ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশনের নিয়ম অনুযায়ী আবেদন করতে পারবেন। ২০১৪ সালে যে সমস্ত প্রার্থীরা টেট উত্তীর্ণ এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হয়ে রয়েছেন তাঁদের নথি যাচাই করা হবে।
অনলাইনে আবেদনের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ওয়েবসাইট -এ লগইন করতে হবে। টেট উত্তীর্ণ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রার্থীদের নিম্নলিখিত পর্যায়ক্রমে আবেদন করতে হবে :
১) প্রথমত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দেওয়া ওয়েবসাইটের পোর্টাল -এ প্রবেশ করতে হবে ইচ্ছুক প্রার্থীদের ।
২) ওই লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে।
৩) ২০১৪ সালের টেটের রোল নম্বর এবং জন্মতারিখ দিতে হবে।
৪) এই নির্দেশাবলী অনুসরণ করেই ফর্ম পূরণ করতে হবে ইচ্ছুক প্রার্থীদের।
সূত্রের খবর, রাজ্যে মোট ২২,৫০০ জনের মতো প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত টেট উত্তীর্ণ প্রার্থী আছেন। তাঁরা ২০১৪ সালে টেট পাশ করেছেন। এই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত টেট উত্তীর্ণদের মধ্যে থেকেই প্রাথমিক শিক্ষকের ১৬,৫০০ শূন্যপদ পূরণ করা হবে। তবে শুধু ডিএলএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নয়, যাঁদের বিএড প্রশিক্ষণ রয়েছে তাঁরাও প্রাথমিকের এই নিয়োগের জন্য আবেদন করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে অবশ্যই টেট উত্তীর্ণ হতে হবে।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সূত্রে খবর, এই নিয়োগের জন্য কত সংখ্যক ইচ্ছুক প্রার্থীর আবেদন জমা পড়ে, তা দেখতে চাইছে পর্ষদ। ২২,৫০০ জন টেট উত্তীর্ণ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রার্থী থাকলেও সংখ্যাটা আরও বাড়বে বলেই মনে করছে পর্ষদ। সেই সঙ্গে চূড়ান্ত বর্ষের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রার্থীরাও আবেদন করতে পারবেন। তাই আবেদনের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে নতুন করে প্রাথমিকের টেটও খুব শীঘ্রই নেওয়া হতে পারে বলে স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর। ইতিমধ্যেই প্রায় ২.৫ আবেদন জমা পড়ে আছে নয়া টেটের জন্য। তারও প্রস্তুতি অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে বলেই পর্ষদ সূত্রে খবর। তবে প্রাথমিকভাবে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করার দিকে গুরুত্ব দিচ্ছে রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতর ও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।