Engineer's Day 2022: আপনাদের পেয়ে আমরা ধন্য। বৃহস্পতিবার ইঞ্জিনিয়ার দিবস ২০২২-এ দেশের সকল ইঞ্জিনিয়ারদের উদ্দেশে এমনটাই বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, দেশ নির্মাণে প্রতিভাবান ও দক্ষ ইঞ্জিনিয়ারদের গুরুত্ব অপরিসীম। তাঁদের কাছে কৃতজ্ঞ ভারত।
'ইঞ্জিনিয়ার দিবসে সকল ইঞ্জিনিয়ারকে শুভেচ্ছা। দেশ গড়তে সাহায্য করছেন, এমন দক্ষ এবং প্রতিভাবান ইঞ্জনিয়ারদের পেয়ে আমরা ধন্য। আমাদের সরকার আরও ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ তৈরি-সহ ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার পরিকাঠামো উন্নত করার বিষয়ে কাজ করছে,' টুইটে লিখেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি বলেন, 'স্যার এম. বিশ্বেশ্বরায়র যুগান্তকারী অবদানকে স্মরণ করে ইঞ্জিনিয়ারিং দিবস পালন করা হয়। তিনি যেন আগামিদিনেও ইঞ্জিনিয়ারদের নিজেদের ব্যাতিক্রমী করে গড়ে তুলতে অনুপ্রাণিত করেন, এই কামনা করি।' আরও পড়ুন: IIT-Madras: রেকর্ড ১,৪০০টি চাকরির অফার! সর্বোচ্চ বেতন ২ কোটি
_1663224299013_1663224333683_1663224333683.jpg)
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও ‘সমস্ত কঠোর পরিশ্রমী ইঞ্জিনিয়ারদের’ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তাঁদের 'উদ্ভাবন এবং জাতির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা'র জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রী নীতিন গড়করিও ইঞ্জিনিয়ারদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
ইঞ্জিনিয়ার এম বিশ্বেশ্বরায়ের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ১৫ সেপ্টেম্বর ভারত, শ্রীলঙ্কা ও তাঞ্জানিয়ায় ইঞ্জিনিয়ার দিবস পালিত হয়। ১৮৬১ সালের এই দিনেই তিনি জন্মগ্রহণ করেন। এম বিশ্বেশ্বরায় ভারতের প্রথম সিভিল ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। পরবর্তীকালে মহীশূর রাজ্যের দিওয়ান হন তিনি।
এম বিশ্বেশ্বরায় মহীশূর শহরের উত্তর-পশ্চিম শহরতলিতে কৃষ্ণ রাজা সাগারা বাঁধ, দক্ষিণ-পশ্চিম মহারাষ্ট্রের কোলহাপুরের কাছে লক্ষ্মী তালাভ বাঁধের প্রধান ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। এছাড়াও হায়দরাবাদ শহরের বন্যা সুরক্ষা ব্যবস্থার অন্যতম প্রধান তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন তিনি। তিরুমালা এবং তিরুপতির মধ্যে রাস্তা নির্মাণের পরিকল্পনা বাস্তবায়নেও তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। আরও পড়ুন: 'যিনি শারীরিকভাবে ক্লাসে উপস্থিত থাকেননি তাঁকে ইঞ্জিনিয়ার বলা যাবে না,' কেন এমন বলল আদালত?
মেধা, ইঞ্জিনিয়ারিং দক্ষতা ছাড়াও জনহিতকর কাজে তাঁর বিপুল অবদান ছিল। আর সেই কারণে ব্রিটিশ সরকারের সম্মানীয় নাইট কম্যান্ডার উপাধি পেয়েছিলেন তিনি। ১৯৫৫ সালে ভারতরত্ন পান এম বিশ্বেশ্বরায়।