মানুষের সমান দক্ষ হতে অনেক দেরি, তাই ভবিষ্যতে এআই খাতেই বাড়বে নতুন চাকরির সুযোগ। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এই যুগে, আগামী সময়ে কোটি কোটি চাকরির সুযোগ তৈরি হতে চলেছে। সম্প্রতি প্রকাশিত, লেটেস্ট এআই রিপোর্ট অনুসারে, এআই-এর হাত ধরে কর্মসংস্থান ক্রমশ বাড়বে। ২০২৩ সালে ৪২৩.৭৩ মিলিয়ন থেকে ২০২৮ সালের মধ্যে ৪৫৭.৬২ মিলিয়ন মানুষ এই এআই খাতে নিজেদের কেরিয়ার গড়বে বলে আশাও করা হচ্ছে। সামগ্রিকভাবে, আগামী পাঁচ বছরে এই কর্মী সংখ্যা ৩৩.৮৯ মিলিয়ন অর্থাৎ তিন কোটির বেশি বৃদ্ধি পাবে।
আরও একগুচ্ছ কর্ম সংস্থান হবে
সার্ভিসনাউবের রিপোর্ট অনুসারে, ভারতের উন্নতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, দক্ষতাকে নতুন পরিচয় দেবে। এইভাবে ২০২৮ সালের মধ্যে প্রযুক্তি খাতে ২.৭৩ মিলিয়ন নতুন চাকরি সুযোগ নিয়ে আসবে। সার্ভিসনাউ ইন্ডিয়া টেকনোলজি অ্যান্ড বিজনেস সেন্টারের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর সুমিত মাথুর এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, এআই যে শুধুমাত্র প্রফেশনালদের জন্যই সেরা সুযোগ নিয়ে আসবে তা কিন্তু একেবারেই নয়। ডিজিটাল ক্যারিয়ার গড়তেও সাহায্য করবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স অর্থাৎ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।
বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় কোম্পানি পিয়ারসন আবার দেখেছে যে খুচরা অর্থাৎ রিটেইল খাতেও ব্যাপক হারে বাড়বে কর্মসংস্থান। এ খাতের আরও সম্প্রসারণের জন্য প্রয়োজন পড়বে ৬.৯৬ মিলিয়ন অতিরিক্ত কর্মীর। খুচরা খাতের পর ম্যানুফ্যাকচারিং বা উৎপাদনের ক্ষেত্রে ১.৫o মিলিয়ন, শিক্ষায় o.৮৪ মিলিয়ন এবং স্বাস্থ্যসেবা খাতের o.৮০ মিলিয়ন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।
আরও পড়ুন: (Govt to assist aspirants: এবার রিস্টার্ট করতে সাহায্য করবে খোদ সরকার, ১২ লাখ প্রার্থীকে দেওয়া হবে ট্রেনিং)
বিভিন্ন শিল্পে প্রযুক্তি খাতে চাকরির সুযোগ বাড়ছে
সফ্টওয়্যার অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপারদের বৃহস্পতি এখন তুঙ্গে। বিভিন্ন শিল্পে প্রযুক্তি খাতে তাঁদের জন্য চাকরির সুযোগ বেশি। তাঁদের জন্য শূন্যপদের সংখ্যা আনুমানিক ১০৯,৭০০ পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে৷
- সিস্টেম সফটওয়্যার ডেভেলপার: ৪৮,৮০০ নতুন চাকরির সুযোগ।
- ডেটা ইঞ্জিনিয়ার: ৪৮,৫০০ নতুন চাকরির সুযোগ।
- ওয়েব ডেভেলপার: ৪৮,৫০০ নতুন চাকরির সুযোগ।
- ডেটা বিশ্লেষক: ৪৭,৮০০ নতুন চাকরির সুযোগ।
- সফ্টওয়্যার পরীক্ষক/টেস্টার: ৪৫,৩০০ নতুন চাকরির সুযোগ।
এরই পাশাপাশি, ডেটা ইন্টিগ্রেশন এক্সপার্ট, ডাটাবেস আর্কিটেক্ট, ডেটা সায়েন্টিস্ট, এবং কম্পিউটার এবং ইনফরমেশন সিস্টেম ম্যানেজারদের জন্যও ৪২,৮০০ থেকে ৪৩,৩০০টি নতুন শূন্যপদের সুযোগ আসতে পারে।
প্রসঙ্গত, প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সিস্টেম অ্যাডমিনিস্ট্রেটররা সবচেয়ে বড় পরিবর্তন দেখতে পাবেন। নতুন প্রযুক্তির কারণে সাপ্তাহিক অন্তত ৬.৯ ঘণ্টার কাজের চাপ কমতে পারে। এটি আরও উল্লেখ করে যে এআই সিস্টেম ইঞ্জিনিয়াররাও জেনারেটিভ এআই (জেন এআই) থেকে উপকৃত হতে পারেন।