দমদম পার্কের ভারতচক্র পুজো কমিটি। সেখানকার পুজোর থিম, ‘ধান দেব না, মান দেব না।’ মণ্ডপ সজ্জায় তুলে ধরা হয়েছে কৃষক আন্দোলনের নানা দিক। আসলে দেশ জুড়ে আন্দোলনকে সংগঠিত করতে কীভাবে কৃষকরা রাস্তায় নেমেছেন। তাদের উপর কীভাবে নেমে এসেছে পুলিশি অত্যাচার। রাজপথেই জুতো ফেলে ফিরে গিয়েছেন তাঁরা। অত্যাচারিত কৃষকের জুতো পড়ে থেকেছে রাজপথে। ফের তাঁরা ফিরে এসেছেন আন্দোলনস্থলে। নতুন উদ্যমে। সেই কৃষক আন্দোলনের কথাই তুলে ধরা হয়েছে মণ্ডপসজ্জার মাধ্যমে।এমনটাই দাবি পুজো উদ্য়োক্তাদের। আর সেই মণ্ডপসজ্জায় ব্য়বহার করা হয়েছে জুতো। গোল বেঁধেছে এখানেই। দুর্গাপুজোর মণ্ডপে জুতোর ব্যবহার নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। পুজোর মণ্ডপ তৈরিতে জুতোর ব্য়বহার কতটা যুক্তিযুক্ত তা নিয়েই একেবারে সমালোচনার ঝড় উঠেছে বিভিন্ন মহলে। তবে শুধু সমালোচনা করাই নয়, ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করা হয়েছে এই অভিযোগ তুলে শনিবার ভারতচক্র পুজো কমিটির কাছে নোটিস পাঠিয়েছে পৃথ্বীবিজয় দাস নামে এক আইনজীবী। এর সঙ্গেই সোশ্য়াল মিডিয়াতে জাঁকিয়ে বসেছে জুতো বিতর্ক। তবে এবার এনিয়ে মুখ খুলেছেন পুজো উদ্যোক্তারা। তাঁরা জানিয়েছেন, শুধু সাম্প্রতিককালের কৃষক আন্দোলনের কথাই নয়, সন্ন্যাসী ও তেভাগা আন্দোলনের কথাও তুলে ধরা হয়েছে এই পুজোর আয়োজনের মাধ্যমে। আর আইনী নোটিস দেওয়া প্রসঙ্গে পুজো উদ্যোক্তাদের দাবি, আইনী পথেই আইনী নোটিসের জবাব দেওয়া হবে। এর সঙ্গেই পুজো উদ্যোক্তাদের সাফ কথা, জুতো খুলেই তো আমরা মন্দিরে ঢুকি। মন্দিরে ঢুকলেই দেখবেন দেবী ধানক্ষেতের মধ্যে বসে রয়েছেন। হয়তো কিছু উগ্র ধর্মীয় সংগঠন বিতর্ক তৈরি করছেন। সম্পূর্ণ ভুল ব্যাখ্যা করে বিতর্ক তৈরি করা হচ্ছে। অন্যদিকে আইনজীবী যখন লিখেছেন, আমি সনাতন হিন্দু, জুতো, হাওয়াই চটি দিয়ে মণ্ডল সাজানো মানতে পারছি না। তখনই পুজো কমিটির যুগ্ম সম্পাদক শৈবাল বসু বলছেন, আমরাও সনাতন হিন্দু। ২১ বছর ধরে নিষ্ঠার সঙ্গে পুজো করছি। কারও ভাবাবেগে আঘাত করা আমার উদ্দেশ্য নয়। তবে এসবের মধ্যে রাজনীতির রঙও দেখছেন অনেকে।