রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ পরিকল্পিত। এমনই দাবি করলেন বর্ধমান – দুর্গাপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। শনিবার সকালে তিনি বলেন, তৃণমূল মহিলাদের ব্যবহার করে এক্ষেত্রেও তাই হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলায় হিন্দুদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক করে রেখেছে তৃণমূল সরকার: নরেন্দ্র মোদী
পড়তে থাকুন: তৃণমূলে পদহারা কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে মুখ খুলে বোমা ফাটালেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়
স্ক্রিপ্ট তৈরি করা ছিল
দিলীপবাবু বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেসই এর প্রেক্ষাপট তৈরি করেছে। তারাই লোকজন পাঠিয়েছে। সবাই জানে, আমরাও জানতা। এই লোকেরা গেছেই ওই জন্য। এদের হাবভাবই সেরকম। পুরো স্ক্রিপ্ট তৈরি করা ছিল। আর তৃণমূলই চ্যাঁচাচ্ছে। আর কারও টেনশন নেই। কারণ সবাই জানে এর পিছনে কে আছে’।
তাঁর দাবি, ‘তৃণমূল সরকারের অপকীর্তির বিরুদ্ধে বলেছেন বলে এইসব করেছে। ওনার বিরুদ্ধে তো এখনও কেস করতে পারেনি ওরা। কেসও করবে। কালকে কালো ঝান্ডে দেখিয়েছে। গো ব্যাক বলেছে। তাও আটকানো যায়নি। তৃণমূল কথায় কথায় মহিলা মহিলা বলে। মহিলাদের ব্যবহার করে ওরা। মহিলাদের সম্মান করে না। এখানেও দেখা গেল একজন মহিলাকে ইউজ করা হয়েছে’।
মুখ বন্ধ করার কৌশল
তৃণমূলকে আক্রমণ করে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আপনি একটা অভিযোগ করলে অনুসন্ধান দল গঠন হয়ে যাবে। কিন্তু এত লুঠ, ধর্ষণ... সন্দেশখালিতে মহিলারা রাস্তায় দাঁড়িয়ে বলছেন তাদের ওপর ধর্ষণ হয়েছে। ক’জন গ্রেফতার হয়েছে? তারাই বাড়ি থেকে তৃণমূল নেতাদের টেনে নিয়ে এসে জুতোপেটা করে পুলিশের হাতে দিচ্ছে। পুলিশের কী যোগ্যতা আছে আর সরকারের কী ইচ্ছা আছে আমরা জানি। ভারতের সমস্ত সম্মানীয় পদ, সম্মানীয় লোককে কী ভাবে অপমান করতে হয় ওরা সেটা দেখিয়েছে। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, নড্ডাজি, রাজ্যপাল এমনকী হাইকোর্টের মহিলা বিচারপতির স্বামীকে পর্যন্ত CID দিয়ে ডাকা হচ্ছে। তার মুখ বন্ধ করার জন্য। TMCর এই যে নিকৃষ্ট রাজনীতি এটাই তাদের পতনের কারণ হবে। মানুষের চোখের সামনে ওরা নিজেকে এক্সপোজ করে দিয়েছে।’
আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতির শুনানিতে বড় মোড়, অকারণে মুখ্যসচিবকে ভর্ৎসনা করছিলাম: হাইকোর্ট