অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করার দায়ে গত রবিবার ১৭ জন বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। সেই ঘটনায় আরও তিনজনকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। তাদের কাছ থেকে জাল আধার কার্ড সহ বহু ভুয়ো নথি উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতরা জাল পরিচয় পত্র বানিয়ে কলকাতাতেই ছিল। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত মেহফুজুর রহমান। জানা গিয়েছে, সেই জাল কাগজপত্র তৈরিতে সাহায্য করেছিল। তাকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে জাল পরিচয়পত্র তৈরিসহ মানবপাচারের অভিযোগ রয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মানব পাচারের একটি ঘটনায় সম্প্রতি তদন্ত নেমেছিল উত্তরপ্রদেশ গুন্ডা দমন শাখা। সেই তদন্তের নেমে মেহফুজুর রহমান নামে ওই ব্যক্তির মানবপাচারের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে জানতে পারেন গোয়েন্দারা। এরপর মোবাইল টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে কলকাতায় আসে উত্তরপ্রদেশের গুন্ডা দমন শাখা। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে উত্তর প্রদেশের গুন্ডা দমন শাখা এবং কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ যৌথভাবে আনন্দপুরের গুলশান কলোনি থেকে ২১ জনকে আটক করে।
সেখানে ধরা পড়ে মেহফুজুর রহমান। ধৃতকে জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, গত দেড় মাস ধরে আনন্দপুর এলাকায় থাকছিল ২১ জন বাংলাদেশি। তাদের জাল নথিপত্র তৈরি করার পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকে ভারতে নিয়ে আসার এজেন্ট হিসেবে কাজ করত মেহফুজুর। এরপরেই ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। তারমধ্যে ১৭ জনের নথি বৈধ ছিল না বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বুধবার রাতে আরও তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের নথিও ভুয়ো ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। ভুয়ো নথি বানিয়ে তারা ভারতীয় নাগরিক হিসেবে কলকাতায় ছিল।
প্রসঙ্গত, আনন্দপুর এবং কসবা এলাকায় এর আগেও বহুবার বৈধ নথিপত্র না থাকার কারণে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। কীভাবে আধার কার্ড বানানো হত এবং এই ঘটনার সঙ্গে আরও কারা কারা জড়িত রয়েছে তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।