তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকে বেতনবৃদ্ধির আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। ডিএর দাবিতে তাঁদের করা মামলা পড়ে রয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। তারই মধ্যে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক সরকারি ও সরকার পোষিত সংস্থায় পেনশন না দেওয়া বা কম দেওয়ার অভিযোগ উঠছে। তেমনই একটি ঘটনায় আদালতে জোর ধাক্কা খেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এক শিক্ষককে স্নাতকোত্তর ডিগ্রির স্কেলেই বেতন দিতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ।
আরও পড়ুন - মাটির সহনক্ষমতার বাইরে বর্জ্য, বেলগাছিয়া ভাগাড় নিয়ে বিপদের আশঙ্কা বিজ্ঞানীদের
আরও পড়ুন - তৃণমূল কংগ্রেস আয়োজিত ইফতারে নেতা–কর্মীদের মেনুতে বৈষম্য, অভিযোগ অন্দরে
আরও পড়ুন - যুবককে উত্তর কলকাতার যৌনপল্লিতে আটকে চলল ব্ল্যাকমেল, মোটা টাকা নিতেই গ্রেফতার
জানা গিয়েছে, বর্ধমানের দধিয়া গোপালদাস উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আবদুল কালাম আজাদ শিক্ষকতা করার সময় স্নাতকোত্তর ডিগ্রির বেতন পেতেন। ২০১৫ সালে অবসর গ্রহণের পর তাঁকে পেনশন দেওয়া হচ্ছে গ্রাজুয়েট স্কেলে। ২০১৯ সালে হাইকোর্টে মামলা করেন কালাম সাহেব। মঙ্গলবার এক নির্দেশে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে তাঁর সমস্ত বকেয়া মিটিয়ে দিতে হবে রাজ্য সরকারকে।
রাজ্য সরকারের দাবি ১৯৮৬ সালে বি কম ডিগ্রি নিয়ে চাকরিতে যোগদান করেছিলেন আবুল কালাম সাহেব। এর পর তিনি রেগুলারে পোস্ট গ্রাজুয়েট করেন। কিন্তু তাঁকে পোস্ট গ্রাজুয়েট করার অনুমতি দিল কে? জবাবে শিক্ষকের আইনজীবী বলেন, আবুল কালাম সাহেবকে স্কুলে বাংলা পড়ানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। সেজন্য স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে তাঁকে স্নাতকোত্তর পড়ানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। ১৯৯৯ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি পান তিনি। সেকথা DIকে জানানো হয়। এর পর তিনি স্নাতকোত্তর ডিগ্রিতে বেতন পেতে শুরু করেন।