রাজ্যে করোনা সংক্রমণের হার দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ার মাঝেই পশ্চিমবঙ্গে ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের জন্য একে একে খুলে দেওয়া হচ্ছে মসজিদের ফটক। এই তথ্য জানিয়েছে বেঙ্গল ইমামস’ অ্যাসোসিয়েশন।গত ১ জুন থেকে রাজ্যের সমস্ত ধর্মস্থান সাধারণের জন্য খুলে দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে পশ্চিমঙ্গের তৃণমূল সরকার। যদিও প্রশাসনিক নির্দেশিকায় ধর্মস্থানে যথাযথ করোনা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার শর্ত আরোপ করা হয়েছে। সরকারি ছাড় ঘোষণা হলেও এখনই ভক্তদের জন্য সদর দরজা খুলছে না দক্ষিণেশ্বর শতাব্দীপ্রাচীন কালী মন্দিরের। মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, মন্দির কমিটির সদস্যদের নিয়ে মহড়ার পরে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। মোটামুটি একই অবস্থান কালীঘাট মন্দির কর্তৃপক্ষের। জানানো হয়েছে, মন্দিরে প্রবেশ ও প্রস্থানের সময় দর্শণার্থীরা যাতে কোনও রকম অসুবিধায় না পড়েন, তার জন্য চূড়ান্ত পরিকল্পনা তৈরি করা হচ্ছে। তার পরেই খুলে দেওয়া হবে মন্দিরের দরজা। ১ জুন রাজ্য সরকার ধর্মীয় স্থানে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পরে বাংলার ইমামস’ অ্যাসোসিয়েশনের তরফে বলা হয়েছিল, রাজ্যের মসজিদগুলি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে খুলে দেওয়া হবে। ওয়াকফ বোর্ডের এক সদস্য জানিয়েছেন, রাজ্যের কমপক্ষে ৫০,০০০ মসজিদ কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এক এক বারে ১০ জনের বেশি ব্যক্তিকে নমাজ পড়তে মসজিদ চত্বরে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। কিছু দিন আগে খুলে দেওয়া হয়েছে কলকাতার নাখোদা মসজিদের দরজা। তবে নমাজের সময় এক এক বারে ২৫ জনের বেশি প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না, জানিয়েছেন ইমাম শফিক কাসমি। এর আগে মসজিদে ভিড় না করার জন্য ভক্তজনকে নির্দেশ দেয় রাজ্যের ইমামস' অ্যাসোসিয়েশন। পাশাপাশি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে নিরাপত্তা বিধি সম্পর্কে সবিস্তারে জানতে চেয়ে আবেদন জানায় অ্যাসোসিয়েশন। বেঙ্গল ইমামস অ্যাসোসিয়েশনের তরফে বলা হয়েছে, ছোট আকারের মসজিদে স্থান সঙ্কুলানের অভাবের কারণে একবারে ৫-১০ জনের বেশি নমাজ পড়তে দেওয়া হচ্ছে না। সেই সঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মসজিদে ব্যবস্থা করা হয়েছে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের। মেনে চলা হচ্ছে সামাজিক দূরত্ব বিধিও।