প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে কলকাতা হাইকোর্টে সিবিআইয়ের পেশ করা রিপোর্টে পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের বিপদ আরও বাড়ল। মুখবন্ধ খামে সিবিআইয়ের পেশ করা রিপোর্ট দেখে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বললেন, জেনে বুঝে দুর্নীতি করেছেন মানিক। এমনকী বর্তমান পর্ষদ সভাপতি সেই দুর্নীতি আড়াল করার চেষ্টা করছেন বলেও অশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।বুধবার প্রাথমিকে OMR শিট নষ্ট মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, সিবিআইয়ের রিপোর্টে স্পষ্ট মানিক ভট্টাচার্য জেনে বুঝে দুর্নীতি করেছেন। এবার বোঝা যাচ্ছে কেন বিচারপ্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ চেয়ে বার বার সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে পর্ষদ। OMR শিট নষ্ট করার আগে তার ডিজিটাইজেশনে কোনও নজরদারি করেনি বোর্ড। এমনকী OMR শিট নষ্ট করার সময়ও সেখানে বোর্ডের কোনও আধিকারিক উপস্থিত ছিলেন না। OMR শিটের স্ক্যানড কপি রাখা হয়নি। বদলে ডিজিটাইড কপি বলে যা রাখা হয়েছে তা যে কোনও সময় বদলে ফেলা যায়।আদালতের এই পর্যবেক্ষণ নিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলেন, ‘আদালতের পর্যবেক্ষণে স্পষ্ট পরিকল্পনামাফিক প্রাথমিকে দুর্নীতি করা হয়েছে। প্রথমে স্ক্যানড কপির জায়গায় এক্সেল শিটে OMRএর তথ্য সংরক্ষণ করা হয়েছে। যা যে কোনও সময় বদলে ফেলা যায়। তার পর OMR শিট নষ্ট করার নামে সেগুলি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। কারণ OMR শিট নষ্ট করার সময় সেখানে পর্ষদের কোনও আধিকারিক ছিলেন না। এর পর যে যখন টাকা দিয়েছে এক্সেল শিটে তার নম্বর বাড়িয়ে চাকরি দেওয়া হয়েছে। আর সেই এক্সেল শিটকে এক বছর ধরে ডিজিটাইড কপি বলে দাবি করে আসছে পর্ষদ। OMR শিটের স্ক্যানড কপি থাকলে এই দুর্নীতি করা যেত না। OMR শিটের স্ক্যানড কপি উদ্ধার হয়েছে নাইসার সার্ভার থেকে।’