উচ্চ শিক্ষায় ওবিসি সংরক্ষণ কত হবে, তা নিয়ে রুজু হওয়া মামলা এখনও ঝুলে রয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। যার ফলে উচ্চমাধ্যমিক থেকে শুরু করে স্নাতক, এমনকী স্নাতকোত্তরেও নতুন পড়ুয়া ভর্তির ক্ষেত্রে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। এবার সেই জটিলতায় জেরেই থমকে গেল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রক্রিয়া।আজ (সোমবার - ১৯ মে, ২০২৫) বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, আপাতত স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরে ভর্তি প্রক্রিয়া বন্ধ রাখা হচ্ছে। এই বিষয়ে পরবর্তী প্রশাসনিক নির্দেশ কী আসে না আসে, তার জন্য অপেক্ষা করা হবে। একইসঙ্গে আইনজীবীদের পরামর্শ নেওয়ার কথাও ভাবছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।জানা গিয়েছে, নতুন পড়ুয়া ভর্তির ক্ষেত্রে ওবিসি সংরক্ষণ নিয়ে তাদের কী করণীয় হতে পারে, তা জানতে চেয়ে সম্প্রতি রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতর এবং উচ্চশিক্ষা দফতরে চিঠি দিয়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সেই চিঠির জবাবে পালটা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্টেই বল ঠেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।চিঠির জবাবে গত ১৬ মে রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতরের পক্ষ থেকে যাদবপুরের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারকে একটি পালটা চিঠি পাঠানো হয়। তাতে জানতে চাওয়া হয়, ওবিসি সংরক্ষণ মামলায় আদালতের পর্যবেক্ষণের পর ভর্তির ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কী বক্তব্য রয়েছে! এরপরই আজ (সোমবার) এ নিয়ে আলোচনায় বসে কলা ও বিজ্ঞান বিভাগের ভর্তি কমিটি। তাতেই স্থির হয়, আপাতত ভর্তি প্রক্রিয়া স্থগিত থাকবে। এবং শীঘ্রই এই বিষয়ে আবারও বৈঠক করবেন ভর্তি কমিটির সদস্যরা।গোটা ঘটনায় রীতিমতো বিরক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠন জুটার সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায়। তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, 'এমনিতে উচ্চশিক্ষা দফতর প্রায়ই কোনও না কোনও নির্দেশ দিয়ে থাকে। অথচ ওবিসি সংরক্ষণ নিয়ে বার বার উচ্চ শিক্ষা দফতর এবং অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতরের কাছে জানতে চাইলেও তারা কিছু জানাচ্ছে না। আসলে এইেভাবে সরকারি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির ভর্তিপ্রক্রিয়া পিছিয়ে দিয়ে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলিকে সুবিধা পাইয়ে দিতে চাইছে সরকার।'