থিম বনাম সাবেকিয়ানার লড়াই বছরের পর বছর দেখে আসছে শহর থেকে গ্রামবাংলা। দুর্গাপুজোয় এটাই বরাবর চর্চিত বিষয় হয়ে উঠেছে। এই থিমের মাধ্যমে বার্তা দিতে গিয়ে জুতো দিয়ে পুজো মণ্ডপ সাজিয়ে ছিল দমদম পার্ক ভারতচক্র পুজো কমিটি। আর তারপরেই বিজেপি রে রে করে নেমে পড়েছে ‘ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত’ করা হয়েছে বলে। এমনকী এই পুজো কমিটিকে আইনি নোটিশ ধরিয়েছেন এক আইনজীবী। কেন এমন জুতোর ব্যবহার করা হয়েছে? এই পুজোমণ্ডপ পরিদর্শন করলেই দেখা যাবে, এখানে সিংঘু সীমান্তে চলতে থাকা কৃষক আন্দোলনকে তুলে ধরতেই মণ্ডপসজ্জায় হাওয়াই চটি ব্যবহার করেছে দমদমের এই পুজো কমিটি। মণ্ডপের শুরুতেই রয়েছে ট্রাক্টর। মণ্ডপের গায়েও লেখা— ‘পূর্ণ হোক কৃষকের স্বপ্ন’। আবার যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যে উত্তপ্ত লখিমপুর খেরি–কাণ্ড নিয়েও পোস্টার লাগানো হয়েছে। তাতে লেখা— ‘লখিমপুর খেরির পাশে দাঁড়ান’, ‘লখিমপুর খেরি, তোমায় ভুলছি না’। বিষয়টি বিপুল মানুষের কাছে প্রচার হবে বুঝতে পেরে সরব হয়েছে বিজেপি বলে মনে করা হচ্ছে।কী লেখা হয়েছে আইনি নোটিশে? আইনে নোটিশে আইনজীবী পৃথ্বীবিজয় দাস লিখেছেন, ‘আমি নিজে একজন সনাতন হিন্দু। তাই জুতো–চটি দিয়ে মণ্ডপ সাজানোর বিষয়টি আমি মেনে নিতে পারছি না। এই ধরনের চিন্তাভাবনা আমার ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত হেনেছে। সাধারণ মানুষের ধর্মবিশ্বাসে আঘাত হানতে এটা ইচ্ছাকৃতভাবে করা হয়েছে।’ মণ্ডপ থেকে জুতো না সরালে তিনি কড়া ব্যবস্থা নেবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পুজো কমিটিকে। কেন এমন জুতোর ব্যবহার করা হয়েছে? এই পুজোমণ্ডপ পরিদর্শন করলেই দেখা যাবে, এখানে সিংঘু সীমান্তে চলতে থাকা কৃষক আন্দোলনকে তুলে ধরতেই মণ্ডপসজ্জায় হাওয়াই চটি ব্যবহার করেছে দমদমের এই পুজো কমিটি। মণ্ডপের শুরুতেই রয়েছে ট্রাক্টর। মণ্ডপের গায়েও লেখা— ‘পূর্ণ হোক কৃষকের স্বপ্ন’। আবার যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যে উত্তপ্ত লখিমপুর খেরি–কাণ্ড নিয়েও পোস্টার লাগানো হয়েছে। তাতে লেখা— ‘লখিমপুর খেরির পাশে দাঁড়ান’, ‘লখিমপুর খেরি, তোমায় ভুলছি না’। বিষয়টি বিপুল মানুষের কাছে প্রচার হবে বুঝতে পেরে সরব হয়েছে বিজেপি বলে মনে করা হচ্ছে।কী লেখা হয়েছে আইনি নোটিশে? আইনে নোটিশে আইনজীবী পৃথ্বীবিজয় দাস লিখেছেন, ‘আমি নিজে একজন সনাতন হিন্দু। তাই জুতো–চটি দিয়ে মণ্ডপ সাজানোর বিষয়টি আমি মেনে নিতে পারছি না। এই ধরনের চিন্তাভাবনা আমার ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত হেনেছে। সাধারণ মানুষের ধর্মবিশ্বাসে আঘাত হানতে এটা ইচ্ছাকৃতভাবে করা হয়েছে।’ মণ্ডপ থেকে জুতো না সরালে তিনি কড়া ব্যবস্থা নেবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পুজো কমিটিকে।|#+|এই বিষয়ে পুজো কমিটির কী বক্তব্য? এই পুজো কমিটির সম্পাদক প্রতীক চৌধুরী বলেন, ‘এবার আমাদের পুজো থিম কৃষক আন্দোলনকে উৎসর্গ করে। তাই ‘ধান দেব না, মান দেব না’। সন্ন্যাসী, তেভাগা থেকে শুরু করে সাম্প্রতিক কৃষক আন্দোলনকে তুলে ধরতে এমন পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল।’ আইনি নোটিশ তাঁরা পেয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন এবং জবাব দেবেন আইনি পথেই বলে জানিয়েছেন।