ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের আশঙ্কা কেটেছে। তবে রাজ্যের উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে এখন চিন্তা বাড়াচ্ছে ভরা কোটাল। রবিবার ভরা কোটালের আশঙ্কা রয়েছে সমুদ্রে। এই কারণে জলোচ্ছ্বাস হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায়। ফলে এদিন সকাল থেকেই চেনা ছবি উধাও দিঘায়। সকাল থেকে চালানো হয় বিশেষ নজরদারি।গতকালই মৎস্য মন্ত্রী অখিল গিরি উপকূলবর্তী এলাকা ঘুরে দেখেছেন। আশঙ্কা করা হচ্ছে ভরা কোটালের ফলে প্লাবিত হতে পারে মন্দারমণি, তাজপুর ,শংকরপুর, দিঘা-সহ পূর্ব মেদিনীপুরের একাধিক এলাকা। জলোচ্ছ্বাস সকাল থেকেই শুরু হয়েছে সমুদ্রে। তা দেখার জন্য যাতে পর্যটকরা সমুদ্রের ধারে না যায়, তার জন্য নজরদারি চালাচ্ছে পুলিশ। সকাল থেকেই স্থানীয় প্রশাসনকে নজরদারি চালাতে দেখা গিয়েছে। প্রাণহানি রুখতে তৎপর স্থানীয় প্রশাসন। তা সত্ত্বে কেউ কেউ সমুদ্রের ধারে গিয়েছিলেন। তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। গতবার ঘূর্ণিঝড় 'ইয়াস'-এর দাপটে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে রাজের উপকূলবর্তী জেলাগুলোতে। একাধিক নদীর বাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছিল। তারপর থেকেই মেরামত করা হচ্ছে নদীর বাঁধ। উপকূলবর্তী এলাকায় এখনও অনেক নদীর বাঁধ ঠিকমতো মেরামত করা সম্ভব হয়নি। ফলে সেগুলি ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ভরা কোটালে সমুদ্রে জলোচ্ছ্বাস দেখা দিলে বাঁধের ওপর উপর চাপ পড়তে পারে। এনিয়ে এলাকার মানুষকে আগেই সতর্ক করা হয়েছে।