বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী বলেছিলেন প্রতিটি ক্লাব বারোয়ারিকে ৮৫ হাজার টাকা করে পুজো অনুদান দেওয়া হবে। আগামী বছর থেকে এক লাখ টাকা করে অনুদান দেওয়া হবে সেকথাও আগাম জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তারপর আরজি করে সেমিনার হলে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুন। আর তারই প্রতিবাদে ফের হুগলির উত্তরপাড়ার অপর একটি পুজো কমিটি জানিয়ে দিল সরকারের পুজো অনুদান তারা নেবে না। ইতিমধ্য়েই তারা জেলা প্রশাসনের কাছে চিঠিও পাঠিয়ে দিয়েছে।
এটি মূলত মহিলা পরিচালিত দুর্গাপুজো। নাম বৌঠান সঙ্ঘ। মহিলারাই মূলত এই পুজো আয়োজনের দায়িত্বে থাকেন। তবে পুজোর সরকারি অনুদান পেলে জাঁকজমকটা একটু বেশি হয়। কিন্তু আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে তারা সরকারি পুজো অনুদান না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
পুজো উদ্যোক্তাদের দাবি, আমরা প্রতিবার পুজো অনুদান নিয়ে থাকি। এই বছর আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে সরকারি অনুদান নিচ্ছি না। পুজো উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, নির্মমভাবে চিকিৎসককে নির্যাতন করে খুন করে খুন করা হয়েছে। তার বিচার চাইছি আমরা।
গোটা বিশ্বজুড়ে আজ আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ। একের পর এক রাজ্যে মিছিল বেরিয়েছে। প্রতিবাদের মিছিল। যে হাসপাতালে পুলিশ আউটপোস্ট ছিল সেই হাসপাতালে কীভাবে একজন চিকিৎসককে ধর্ষণ করা হয়, তাঁকে খুন করা হয় তার জবাব চাইছে গোটা বিশ্ব।
তবে শুধু বৌঠান সঙ্ঘ নয়, এর আগে আপনাদের পুজো ও উত্তরপাড়ার শক্তি সঙ্ঘ এই পুজো অনুদান নেবে না বলে ঘোষণা করেছিল। তবে এবার উত্তরপাড়ায় পরপর তিনটি পুজো কমিটি যেভাবে পুজো অনুদান নেবে না বলে ঘোষণা করেছে তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
এর আগে উত্তরপাড়ার জয়কৃষ্ণ স্ট্রিটের আপনাদের দুর্গাপুজো সরকারি পুজো অনুদান নেবে না বলে জানিয়ে দিয়েছিল।
৮০ বছরের পুরনো এই পুজো। সেই পুজো কমিটি জানিয়ে দিয়েছিল তারা সরকারি পুজো অনুদান নেবে না। তারও আগে উত্তরপাড়ার শক্তি সংঘ জানিয়ে দিয়েছিল তারা পুজো অনুদান নেবে না। আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এমনকী সরকারি অনুদান না নেওয়ার জেরে তাদের পুজোর জাঁকজমকে কিছুটা ভাটা পড়তে পারে। তবে তারা সেটাও মানতে রাজি।
তবে এবার রাজ্যের আর কতগুলো ক্লাব এই পথে হাঁটতে পারে সেটাও দেখার। সেই সঙ্গেই প্রশ্ন উঠছে গোটা রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন সংগঠনের তরফে প্রতিবাদ কর্মসূচি হচ্ছে। কিন্তু জেলা ভিত্তিক বা ব্লক ভিত্তিক ক্লাবগুলি একসঙ্গে কেন প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজন করছে না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।