পুজোর প্রথম থেকেই একেবারে বিতর্কের কেন্দ্রে শ্রীভূমির বুর্জ খলিফা। মন্ত্রী সুজিত বসুর পুজো বলেই এটি পরিচিত। এবার সেই পুজো নিয়েই মুখ খুললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। বৃহস্পতিবার বিকালে বালুরঘাটে তিনি বলেন, ‘খোদ দমকলমন্ত্রীর পুজো নিয়ে এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার তরফে পুজো মণ্ডপের লেজার লাইট বন্ধের কথা বলা হয়। দমকলমন্ত্রীর পুজোতে যদি এমন ঘটনা ঘটে তাহলে পশ্চিমবঙ্গের দমকলমন্ত্রীরও দম নেই।’ এর সঙ্গেই সুকান্তর সংযোজন, ‘এই পুজোকে কেন্দ্র করে যেভাবে অরাজকতা চলছিল, রাস্তায় জ্যাম হচ্ছিল প্রশাসনের আরও আগে উচিৎ ছিল এই পুজো বন্ধ করা।’ শ্রীভূমির পুজো দর্শন বন্ধ হলে করোনার প্রকোপ অনেক আগেই কমত বলেও দাবি সুকান্তর। তবে দেরিতে হলেও ভিড় ও সংক্রমণ এড়াতে বুর্জ খলিফার আদলে তৈরি মণ্ডপের দরজা দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এদিকে এখানকার লেজার লাইট নিয়ে আগেই আপত্তি তুলেছিল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। যার জেরে সেখানকার আলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। সামগ্রিক পরিস্থিতিতে এখানকার পুজো নিয়ে আগেই মুখ খুলেছিলেন খোদ তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার এনিয়ে সরব হচ্ছেন বিরোধীরাও। এর সঙ্গেই বাংলাদেশে দুর্গা মণ্ডপে ভাঙচুর নিয়েও মুখ খুলেছেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, ‘যেভাবে বাংলাদেশের ঘটনা হয়েছে তা মানব সভ্যতার কাছে ভয়ঙ্কর ও বিপজ্জনক।’ পুজো কেটে যাওয়ার পরেই তাঁরা এনিয়ে বাংলাদেশ হাইকমিশনের দ্বারস্থ হবেন বলেও জানিয়েছেন।