বিজেপি বড় ধাক্কা খেল অর্জুন সিংয়ের এই দলবদলে। কারণ বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। সেখানে উত্তর ২৪ পরগণার বিজেপি সংগঠন কার্যত শেষ হয়ে গেল। আবার ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে অর্জুন সিং বড় ভূমিকা নেবেন বলে মনে করা হচ্ছে। দীর্ঘ এক ঘন্টার বৈঠকের পর নিজেদের মধ্যে বিবাদ কাটিয়ে ফিরে এলেন অর্জুন সিং।
Ad
উত্তরীয় পরিয়ে অর্জুন সিংকে দলে ফেরান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
ঘড়ির কাঁটায় ঠিক সাড়ে ৪টে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে পৌঁছে গেলেন অর্জুন সিং। তারপর চলল দীর্ঘ বৈঠক। তার আগে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, রাজ চক্রবর্তীদের সঙ্গে বৈঠক করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠক হয় অর্জুন সিংয়ের সঙ্গেও। সেখানে একটু বাকবিতণ্ডা হলেও তা অভিষেকের নেতৃত্বে থেমেও যায়। মতভেদ দেখা দিয়েছিল তাঁকে দলে ফেরানো নিয়ে বলে সূত্রের খবর। তারপর আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আগেই ফেসবুকে ছবি বদল হয়ে যায়। আজ, রবিবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে ঘাসফুলের পতাকা হাতে তুলে নেন। বিজেপি ছেড়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেন তৃণমূল কংগ্রেসে।
বিজেপি কতটা ধাক্কা খেল? বিজেপি বড় ধাক্কা খেল অর্জুন সিংয়ের এই দলবদলে। কারণ বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। সেখানে উত্তর ২৪ পরগণার বিজেপি সংগঠন কার্যত শেষ হয়ে গেল। আবার ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে অর্জুন সিং বড় ভূমিকা নেবেন বলে মনে করা হচ্ছে। দীর্ঘ এক ঘন্টার বৈঠকের পর নিজেদের মধ্যে বিবাদ কাটিয়ে ফিরে এলেন অর্জুন সিং।
ঠিক কী বলেছেন অর্জুন সিং? আজ, রবিবার উত্তরীয় পরিয়ে অর্জুন সিংকে দলে ফেরান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দলে ফিরে অর্জুন সিং সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ‘কিছু ভুল বোঝাবুঝির জন্য বিজেপিতে গিয়েছিলাম। কিন্তু বাংলাকে কেন্দ্রীয় সরকার বঞ্চিত করছে দেখে ফিরে এলাম। বাংলায় ফেসবুকের রাজনীতি করে কোনও লাভ নেই। আমি অনেক চেষ্টা করেছিলাম বোঝাতে পাটশিল্পের অগ্রগতি করতে। কিন্তু তার মাত্র ২৫ শতাংশ হয়েছে। আরও কাজ করতে হবে। আমি দিল্লিতে গিয়ে সাংসদ পদ ত্যাগ করব। এখনও যাঁরা তৃণমূলের সাংসদ হয়েও বিজেপিতে আছেন তাঁদের উচিত ছেড়ে দেওয়া। আমিও তখন ছেড়ে দেব।’