রাত পোহালেই শুরু হবে বিধানসভার বাদল অধিবেশন। আর সোমবারই উপনির্বাচনে জয়ী চার বিধায়কের শপথ হতে পারে বলে সূত্রের খবর। কারণ রাজভবনের থেকে সবুজ সংকেত মেলেনি। এই নিয়ে চিঠি চালাচালি পর্যন্ত হয়েছে। তাই এই পরিস্থিতিতে শপথের প্রস্তুতি সেরে রেখেছে বিধানসভার সচিবালয়। মানিকতলা থেকে সুপ্তি পাণ্ডে, বাগদা থেকে মধুপর্ণা ঠাকুর, রানাঘাট দক্ষিণ থেকে মুকুটমণি অধিকারী, রায়গঞ্জ থেকে কৃষ্ণ কল্যাণী উপনির্বাচনে জিতে বিধায়ক হয়েছেন। কিন্তু এই চারজন বিধায়কের শপথ করার জন্য প্রথা মেনে রাজভবনের কাছে অনুমতি চায় বিধানসভার সচিবালয়। কিন্তু টালবাহানা শুরু করেছে রাজভবন।
রাজভবন থেকে কয়েকটি প্রশ্ন তৈরি করে তা বিধানসভায় পাঠানো হয়েছিল। যার জবাব দিয়েছিলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর থেকে সব চুপচাপ। এই আবহে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস নয়াদিল্লি পাড়ি দিয়েছেন। সুতরাং শপথ নিয়ে একটা অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। কবে শপথ হবে? এই প্রশ্ন নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়। তখন বাধ্য হয়ে আলোচনা করে চার বিধায়কের শপথের প্রস্তুতি সেরে রাখে বিধানসভার সচিবালয়। যদি রাজ্যপালের পক্ষ থেকে কোনও বার্তা এল তো ভাল কথা। না হলে শপথ পদাধিকার বলে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় করিয়ে নেবেন।
আরও পড়ুন: পাড়ার বৌদির ছবি গোপনে তোলায় মামলা গড়ায় কলকাতা হাইকোর্টে, তারপর কী ঘটল?
কেন সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় আর রেয়াত হোসেন সরকারদের শপথ পড়ানোর দায়িত্ব উপাধ্যক্ষকে দেওয়ার পরও অধ্যক্ষ পড়ালেন সেসব নিয়ে জবাব চেয়েছিল রাজভবন। তাই চিঠির জবাব দিয়ে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, কোন পরিস্থিতিতে সায়ন্তিকা আর রেয়াতের শপথ হয়েছে। এমনকী বিধানসভার পরিষদীয় রীতির কথা উল্লেখ করেন স্পিকার। বিধানসভার রীতি অনুযায়ী, অধিবেশন চলাকালীন স্পিকার সেখানে উপস্থিত থাকলে ডেপুটি স্পিকার শপথ পাঠ করাতে পারেন না। তাই সেই নিয়ম মেনে অধ্যক্ষকেই বিধায়কদের শপথের দায়িত্ব তুলে দেন ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়।