প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস ও তার কর্ণধারদের সম্পত্তির অসম্পূর্ণ তালিকা পেশ করায় ইডিকে তীব্র তিরস্কার করলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। সোমবার বিকেলে এই মামলার শুনানিতে ইডির সহকারী ডিরেক্টর মিথিলেশ কুমার মিশ্রকে তীব্র ভর্ৎসনা করেন তিনি। ইডির পেশ করা হলফনামায় তালিকা ধরে তাঁকে একের পর এক প্রশ্ন করেন বিচারপতি। যার অধিকাংশের জবাব ছিল না ইডি কর্তার কাছে। এমনকী ইডি এই ধরণের তদন্ত করার যোগ্য কি না সেই প্রশ্নও তোলেন বিচারপতি। শুক্রবার আদালতের কাজ শেষ হওয়ার ১৫ মিনিট আগে ফের মামলাটির শুনানি। সেদিনও ইডি আধিকারিককে আদালতে হাজির থাকতে বলেছেন বিচারপতি।এদিন শুরু থেকেই বিচারপতি সিনহার ইডির উদ্দেশে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকেন। লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়সহ অন্যান্যদের সম্পত্তির তালিকা পড়ে বলেন, এই তালিকা অসম্পূর্ণ।এদিন আদালতে বিচারপতি ইডিকে প্রশ্ন করেন, আপনাদের তদন্তের উদ্দেশ নিয়ে প্রশ্ন জাগছে। এমনকী ইডি আদালতের কাছে তথ্য গোপন করছে বলেও ভর্ৎসনা করেন তিনি।এদিন বিচারপতি সিনহা বলেন, ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে মাত্র ৩টে জীবনবিমা পলিসি রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তাঁর কি কোনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নেই? তাহলে সাংসদ হিসাবে তিনি বেতন পান কী করে?’ জবাবে মিথিলেশ মিশ্র বলেন, এই তালিকাই অভিষেকের আইনজীবী আমাদের দিয়েছে। একথা শুনে বিচারপতি বলেন, ইডি কি পোস্ট অফিস, যে তালিকা দেওয়া হয়েছে সেটাই আদালতে পাঠিয়ে দেবে। তালিকার সত্যতা খতিয়ে দেখা কি তাদের কাজ নয়?বিচারপতি প্রশ্ন করেন, যে গতিতে তদন্ত এগোচ্ছে তাতে কি কোনও দিনও সুড়ঙ্গের শেষ মাথায় পৌঁছনো সম্ভব হবে? তদন্ত কি কোনও দিনও শেষ হবে? আমি ও এই আদালতে উপস্থিত সবাই ইডির তদন্তের ধরণে অন্য কিছুর গন্ধ পাচ্ছি। এই দুর্নীতিতে এমন অনেকে চাকরি পেয়ে থাকতে পারেন যারা শিক্ষক হওয়ার যোগ্য নন। তারা স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের পড়াচ্ছে। এটা ভয়ঙ্কর ব্যাপার। তাই দ্রুত তদন্ত শেষ করা দরকার।বিচারপতি ইডি আধিকারিককে প্রশ্ন করেন, ‘আপনার ওপর কি বেশি চাপ পড়ে যাচ্ছে? আপনি কি তদন্ত থেকে অব্যহতি চাইছেন?’ জবাবে তিনি বলেন, ‘চাপ পড়ছে ঠিকই। তবে আমার আরও তদন্তকারী আধিকারিক প্রয়োজন।’