আ সপ্তাহ পর্যন্ত একজনও করোনা আক্রান্তের সন্ধান না মিললেও হঠাৎ এক চিকিৎসক-সহ চার স্বাস্থ্যকর্মী কোভিড পজিটিভ দেখা দেওয়ার পরে শুক্রবার থেকে মিরিকে বহিরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ হল।মিরিকের মহকুমাশাসক অশ্বিনী কুমার রায় জানিয়েছেন, ‘আগামী ১ জুলাই পর্যন্ত বাড়ি বাড়ি গিয়ে গোষ্ঠী সংক্রমণ ঘটেছে কি না, তার তল্লাশি চালাবে প্রশাসন। মহকুমায় এ পর্যন্ত মোট নয় জন কোভিড আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে।’মিরিক ব্যবসায়ী অ্যাসোসিয়েশন-এর সভাপতি সঞ্জয় গোলে জানিয়েছেন, ‘মিরিক শহর এবং মিরিক পুর নিগমের আওতায় থাকা নয়টি ওয়ার্ডে সম্পূর্ণ লকডাউন জারি করা হচ্ছে। মিরিকে কোনও গাড়ি ঢুকতে দেওয়া হবে না, এখান থেকে কোনও গাড়ি বেরোতে দেওয়াও হবে না।’ তিনি জানিয়েছেন, মিরিকের আশপাশের ছোটখাটো গ্রাম ও জনপদগুলিকেও লকডাউনের অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে।কিছু দিন আগেই শিলিগুড়ির ব্যবসায়ী সংগঠনগুলি বিধান মার্কেট, হংকং মার্কেট এবং স্থানীয় গয়না বাজার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত শিলিগুড়িতে করোনা সংক্রমণের ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং শিলিগুড়ি মহকুমায় আক্রান্তের সংখ্যা আপাতত ৩৯৫।শুক্রবার শিলিগুড়ির কাছে শালুগাড়া বাজারও সংক্রমণের জেরে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন ব্যবসায়ীরা। সংগঠনের সম্পাদক শংকর প্রসাদ জানিয়েছেন, ‘সেনাবাহিনীতে পোর্টারের কাজ করতে বাইরে থেকে প্রচুর কর্মী এসেছেন। স্থানীয় মানুষ তাই আতঙ্কিত বোধ করছেন।’শালুগাড়া ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি তাশি লামা জানিয়েছেন, ‘চার হাজারের বেশি বহিরাগত শালুগাড়ায় এসেছেন, এ দিকে সেনা শুধুমাত্র ৩০০ পোর্টার নেবে। বহিরাগতদের থাকার জায়গা নেই বলে বাজারের দোকান ও স্থানীয় মন্দিরে আশ্রয় নিচ্ছেন।’