বৃহস্পতিবার ইলিশের সন্ধানে ‘মা শীতলা’ নামে একটি ট্রলারে করে গঙ্গাসাগর থেকে বঙ্গোপসাগরের উদ্দেশ্যে পাড়ি দিয়েছিলেন আটজন মৎস্যজীবী। এরপর ফেরার পথে বিকেল নাগাদ ওই ট্রলারটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। ট্রলারটি ডুবে যায়। তখন ৮ জন মৎস্যজীবী জলের মধ্যেই ভাসতে থাকেন।
Ad
উদ্ধার করা হচ্ছে মৎস্যজীবীদের। নিজস্ব ছবি।
বর্ষা শুরু হতেই বঙ্গোপসাগরে দেদার মিলছে ইলিশ। যার ফলে কমবেশি সব বাজারেই ইলিশের জোগান বেড়েছে। আর সেই।সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ইলিশের দামও সাধ্যের মধ্যে এসেছে। এই ইলিশ ধরার জন্য মৎস্যজীবীরা পাড়ি দিচ্ছেন সমুদ্রে। কিন্তু, বঙ্গোপসাগরে সেই ইলিশ ধরতে গিয়েই ঘটল বিপত্তি। মাঝ সাগরে ডুবে গেল মৎস্যজীবীদের একটি ট্রলার। অন্যান্য মৎস্যজীবীদের সহায়তায় কোনওভাবে প্রাণে বাঁচলেন ওই ট্রলারে থাকা ৮ জন মৎস্যজীবী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার ইলিশের সন্ধানে ‘মা শীতলা’ নামে একটি ট্রলারে করে গঙ্গাসাগর থেকে বঙ্গোপসাগরের উদ্দেশ্যে পাড়ি দিয়েছিলেন আটজন মৎস্যজীবী। এরপর বিকেল নাগাদ ওই ট্রলারটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। ট্রলারটি ডুবে যায়। তখন ৮ জন মৎস্যজীবী জলের মধ্যেই ভাসতে থাকেন। সেই সময় পাশে থাকা মৎস্যজীবীদের একটি ট্রলার এগিয়ে এসে ওই মৎস্যজীবীদের উদ্ধার করে। মৎস্যজীবীদের পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ হয়েছে। ৮ জন মৎস্যজীবী সকলেই সুস্থ রয়েছেন। তাঁদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে মেদিনীপুরে। সেখানে তাদের চিকিৎসার পর বাড়িতে নিয়ে আসা হবে বলে জানা গিয়েছে।
মৎস্যজীবীদের কথায় এই দুর্ঘটনায় প্রাণহানির আশঙ্কা ছিল। অন্য ট্রলারটি তাঁদের সাহায্যের জন্য এগিয়ে না আসলে সে ক্ষেত্রে বিপদ ঘটতে পারত। তবে ওই ট্রলারটি তৎপরতার সঙ্গে এগিয়ে এসে উদ্ধার কাজ শুরু করায় তাঁরা প্রাণে বেঁচেছেন।