নদিয়া জেলা তৃণমূল ও ব্লক কমিটি ঘোষিত হয়েছে গত রবিবার। আর নতুন কমিটিতে দীর্ঘদিনের নেতা ও প্রবীণদের জায়গা না দেওয়ায় এবার ক্ষোভ প্রকাশ করলেন দলের বিধায়ক তথা রাজ্য তৃণমূলের সহ সভাপতি শঙ্কর সিংহ। এর আগে এ নিয়ে সরব হয়েছিলেন বিধায়ক কল্লোল খাঁ। আর শুক্রবার ফুলিয়া রঙ্গমঞ্চে রানাঘাট উত্তর পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের কর্মিসম্মেলনে জেলা নেতৃত্বের সামনেই প্রতিবাদ জানালেন বর্ষীয়ান নেতা শঙ্কর সিংহ। তিনি এদিনের কর্মিসভায় শান্তিপুর ব্লক কমিটি নিয়ে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার আবেদন রেখেছেন।দেখা গিয়েছে, নতুন কমিটিতে শান্তিপুর ব্লক ও শহর, বীরনগর শহর এবং তাহেরপুরের ব্লক সভাপতি পদ থেকে শঙ্কর সিংহের ঘনিষ্ঠদের অনেককেই সরানো হয়েছে। প্রায় ১২ বছর ধরে শান্তিপুর ব্লকের দলীয় সভাপতির পদে থাকার পর সেই পদ হারিয়েছেন তপন সরকার। কোণঠাসা করে ফেলা হয়েছে ২৫ বছর ধরে পুরপ্রধান ও ২৫ বছর বিধায়কের দায়িত্ব পালন করা শান্তিপুরের বর্তমান পুরপ্রশাসক অজয় দে–কেও।তিনি এই ‘ঘাড়ধাক্কার রাজনীতি’ সমর্থন করেন না বলে জানিয়েছেন শঙ্কর সিংহ। শুক্রবারের কর্মিসভায় জেলা নেতৃত্বের সামনেই তিনি বলেন, ‘কাউকে ঘাড়ধাক্কা দিয়ে দল থেকে বের করে দেওয়ার রাজনীতিকে আমি সমর্থন করি না। আমি কখনও প্রতিশোধের রাজনীতি করিনি।’ শান্তিপুরের সদ্যনিযুক্ত ব্লক সভাপতি নিমাই বিশ্বাসকে উদ্দেশ্য করে এদিন শঙ্করবাবু বলেন, ‘শান্তিপুর ব্লকের ১০টি পঞ্চায়েতের দায়ভার এখন আপনার। পরে কিছু সমস্যা হলে হয়তো আপনি দায়িত্ব এড়িয়ে যাবেন। যারা নতুন কমিটি গঠন করেছে তারাও চুপ থাকবে। এটা ঠিক নয়। আমি সভাপতির কাছে শান্তিপুরের ব্লক কমিটির বিষয় পুনর্বিবেচনা করার আর্জি রাখছি।’সভায় শঙ্কর সিংহ বলেন, ‘হরিণঘাটা থেকে করিমপুর পর্যন্ত গত ৫০ বছর ধরে রাজনীতি করেছি। এই দীর্ঘকাল আমি অনেক নেতা দেখেছি। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে আমি মর্মাহত। দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব এই নতুন কমিটি করে দিয়েছেন। এটাই শেষ সিদ্ধান্ত। কোনও দ্বিমত নেই। কিন্তু যাঁরা এই কমিটি তৈরি করেছেন তাঁরা আরও একটু গভীরে গিয়ে ভেবে করতে পারতেন।’ যদিও এ ব্যাপারে তাঁর কিছু জানা নেই বলেই জানিয়েছেন নদিয়া জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র বাণীকুমার রায়।