বিরল প্রজাতির প্যাঙ্গোলিন পাচার করতে গিয়ে ধরা পড়ে গেল একটি চক্র। ভারত থেকে তা নেপালে পাচার করার ছক কষা হয়েছিল। সেই ছক অনুযায়ী, পাচার হয়ে যাচ্ছিল এক বিরল প্রজাতির প্যাঙ্গোলিন। কারণ সেখানে মোটা টাকার রফা হয়েছিল। এই খবর পেয়েছিলেন বন দফতরের আধিকারিকরা। তখন এই চক্রটিকে আরও মোটা টাকার টোপ দিয়ে পাচারের ছক ভেস্তে দেওয়া হল। এই পাচার রুখে দিল বৈকন্ঠপুর বনবিভাগের বন দফতরের শালুগাড়া রেঞ্জ। ঘটনাটি ঘটেছে তিস্তা ব্যারেজের কাছে গজলডোবায়।বন দফতর সূত্রে খবর, এই পাচারকারীদের চক্র যে আবার সক্রিয় হয়েছে তা গোপন সূত্রে খবর পেয়েছিলেন বন দফতরের কর্তারা। ভারতের সীমানা অতিক্রম করে নেপালে প্যাঙ্গোলিন পাচারের খবর এসেছিল। তখন পাল্টা ছক কষে পাচারকারীদের ধরতে মোটা টাকার টোপ দেন রেঞ্জার সঞ্জয় দত্ত। প্যাঙ্গোলিন বিক্রি করলে ১০ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে টোপ দেন তিনি। সেই টাকার লোভ সামলাতে পারেনি পাচারকারীরা। তারা সেই ফাঁদে পা দেয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে তিস্তা ব্যারেজের সামনে গজলডোবায় ক্রেতা সেজে অপেক্ষা করেন রেঞ্জার সঞ্জয় দত্ত। সেখানে তিন পাচারকারী এসে হাজির হতেই তাদের গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের কাছ থেকে একটি জীবন্ত প্যাঙ্গোলিন এবং প্যাঙ্গোলিনের আঁশ উদ্ধার হয়েছে।জানা গিয়েছে, প্যাঙ্গোলিন নামে পরিচিত দন্তহীন আঁশযুক্ত এই প্রাণীটি চোরাশিকারের জেরে প্রায় বিলুপ্তি হয়ে যেতে বসেছে। পৃথিবীর ৮ প্রজাতির প্যাঙ্গোলিনের মধ্যে বাংলাদেশে তিনটির অস্তিত্ব ছিল। ভারতীয় প্যাঙ্গোলিন ও চিনা প্যাঙ্গোলিন পাওয়া যায়। ভারত–বাংলাদেশে অস্তিত্ব বিপন্ন। গবেষকদের মতে, দ্রুত পদক্ষেপ না করলে এই বন্যপ্রাণীটি চিরতরে হারিয়ে যাবে। বন দফতরের কর্তারা এই চক্রকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করছে। কারণ এই চক্র কতদূর পর্যন্ত জাল বিস্তার করেছে তা জানতেই চলছে জেরা।