ভোট পরবর্তী অশান্তিতে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল গোঘাটের কুমারগঞ্জ গ্রামপঞ্চায়েতের ভুরকুন্ডা এলাকা। সংঘর্ষে আহত হয়েছে পুলিশ সহ বিজেপির কয়েকজন কর্মী। বিজেপির দাবি, আহতরা তাদের লোক। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় গোঘাট থানার পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী।
বিজেপির অভিযোগ, এলাকায় বিজেপির পতাকা লাগানো নিয়ে তৃণমূল সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। অভিযোগ, তৃণমূল সমর্থকরা এসে বিজেপি কর্মীদের মারধর করে। পরিস্থিতি সামাল দিতে গেলে পুলিশের উপরও হামলা হয়। ইটের টুকরো উড়ে এসে আহত হন এক পুলিশ আধিকারিকও।
আহত এএসআই পদমর্যাদার ওই পুলিশ আধিকারিকের নাম বরুণকুমার বাগ। তাঁর মাথায় চোট লেগেছে। ৫ জন বিজেপি কর্মী, ২ জন মহিলা এবং পুলিশ আধিকারিককে কামারপুকুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনায় পুলিশের একটি গাড়ি ভাঙচুরেরও অভিযোগ উঠেছে।
গোঘাট আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত এলাকা। ভোটের আগে থেকেই গোঘাটে রাজনৈতিক অশান্তির অভিযোগ ছিল। ভোট মিটলেও সেই অশান্তি থামেনি। এই লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস জিতলেও গোঘাট বিধানসভা এলাকায় বিজেপি ভাল ফল করেছে। অভিযোগ, এরপর থেকেই বিজেপি কর্মীদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
যদিও এখনও তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি, তবে এলাকার পরিস্থিতি উত্তপ্ত। প্রশাসন ও কেন্দ্রীয় বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেছে। এলাকায় পুলিশ টহলদারিও চলছে।
আরও পড়ুন। পুরনোদের হারানোয় ‘ইচ্ছাকৃত পরিকল্পনা’ থাকতে পারে, বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ
নন্দীগ্রামে আক্রান্ত তৃণমূলে বুথ সভাপতি
নন্দীগ্রামের কালীচরণপুরে তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ সভাপতি বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠল। অভিযোগের তির বিজেপির দিকে। অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপির।
নন্দীগ্রাম এক নম্বর ব্লকের কালীচরণপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ৭ নম্বর জালপাই গ্রামে ২৪৪ নম্বর বুথের বুথ সভাপতি গুরুপদ মন্ডল। তৃণমূল অভিযোগ শুক্রবার রাতে কয়েকজন বিজেপি কর্মী গুরুপদ মন্ডলের বাড়িতে অতর্কিত হামলা করে। গুরুপদ মন্ডল সহ তার স্ত্রী, ১৫ বছরের ছেলে এবং তার বাড়ির পাশের একজন তৃণমূল মহিলা কর্মীকে মারধর করা হয়। তাদের টাকা পয়সা মোবাইল সহ সোনা গয়না নিয়ে নেওয়া হয়। এমনকি ধর্ষনের হুমকি সহ শাড়ি ছিঁড়ে দেওয়া শ্লীলতাহানির অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বর্তমানে বুথ সভাপতির স্ত্রী এবং তার ছেলে আরও এক মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী তিনজনই নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি সুদীপ দাসের অভিষোগ, ‘ওই গ্রামে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা তাদের বিজেপি কর্মীর বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। বিজেপি কর্মীরা তা প্রতিরোধ করেছে।’ গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছে নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ।