গুজরাতের মোরবিতে সেতু দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীর কেশবাটি গ্রামের বাসিন্দা হাবিবুল শেখের। মঙ্গলবার ভোর রাতে গ্রামে পৌঁছয় তাঁর দেহ। কিন্তু মাত্র ১৮ বছর বয়সী হাবিবুল মোরবিতে গিয়েছিলেন কেন? সেই প্রশ্নের জবাব খুঁজতে গিয়ে উঠে এল এক কঠিন বাস্তব। যুবকের পরিবার জানিয়েছে, চাষে লাভ নেই। আর রাজ্যে কাজ করে ভালো উপার্জন করা যায় না। তাই মোরবিতে কাকার কাছে সোনার গয়না তৈরির কাজ শিখতে গিয়েছিলেন হাবিবুল। ফিরলেন কফিনবন্দি হয়ে।রবিবার সন্ধ্যায় গুজরাতের মোরবিতে মাচ্ছু নদীর ওপর ছিঁড়ে পড়ে ঝুলন্ত সেতুর। দুর্ঘটনায় প্রায় দেড় শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে পূর্বস্থলীর হাবিবুলও। এরাজ্য থেকে হতভাগ্যের তালিকায় একমাত্র নাম তাঁর।কিন্তু মাত্র ১৮ বছর বয়সে কেন গুজরাতে গিয়েছিলেন হাবিবুল শেখ। নিহতের বাবা জানিয়েছেন, অনটনের সংসারে দশম শ্রেণি পাশ করে একাদশে ভর্তি হয়েছিল ছেলে। কিন্তু পড়াশুনো চালাতে পারেনি। চাষ করে লাভ হয় না। রাজ্যে অন্যান্য কাজে পারিশ্রমিক কম। তাই কাকা শাহিবুল শেখের কাছে স্বর্ণশিল্পের প্রশিক্ষণ নিতে গিয়েছিল হাবিবুল’।অভাবের তাড়নাতেই যে হাবিবুল শেখ গুজরাত গিয়েছিলেন তা মেনে স্থানীয় বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায়।