আচমকাই দার্জিলিং ও সিকিমের পর্যটনে বড় ধাক্কা। একের পর এক বুকিং বাতিল হয়ে যাচ্ছে। মারাত্মক সমস্য়ার মধ্যে পড়েছেন পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে যুক্তরা।
এখন পর্যটনের ভরা মরসুম। সমতলের কাঠফাটা রোদ থেকে বাঁচতে অনেকেই একবার যেতে চান দার্জিলিংয়ে, সিকিমে। কিন্তু বাস্তবে আচমকা দেখা যাচ্ছে বুকিং বাতিল হয়ে যাচ্ছে।
এই বুকিং বাতিলের কারণটা ঠিক কী?
মূলত দুটি তিনটি বিষয় নিয়ে চর্চা হচ্ছে। প্রথমত ভারত পাক উত্তেজনার জেরে একদিকে যেমন বেসরকারি স্কুলের ছুটি এগিয়ে আনার আবেদন করেছিলেন খোদ বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী। তেমনই দেখা গিয়েছে একাধিক সরকারি দফতরের ছুটি বাতিল করা হয়েছিল। এর জেরেই বুকিং বাতিল হতে পারে। সেই সঙ্গেই সিকিম ও শিলিগুড়ির মধ্য়ে সংযোগকারী ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে মেরামতি হচ্ছে। এর জেরে কয়েক ঘণ্টা করে বন্ধ থাকছে রাস্তা। সেকারণে অনেক পর্যটক এত ঝামেলা করে সিকিমে যেতে চাইছেন না। যার জেরে বাতিল হচ্ছে বুকিং।
এই সময় প্রতি বছরই দার্জিলিং পর্যটকদের ভিড়ে একেবারে গিজগিজ করে। কিন্তু এবার ছবিটা কিছুটা ভিন্ন। একাধিক ক্ষেত্রে একেবারে শেষ সময়ে বুকিং বাতিল হয়ে যাচ্ছে।
পর্যটন ব্যবসায়ীদের অভিজ্ঞতাটা এবার অদ্ভূত। অনেকেই ফোন করে খোঁজ খবর নিচ্ছিলেন। বুকিংও করেছিলেন অনেকে। কিন্তু আচমকাই বাতিল করে দিচ্ছেন।
অনেকের মতে, সরকারি ছুটি বাতিলের বিষয়টি একটা বড় প্রভাব ফেলেছে এবার। যার জেরে সংঘর্ষ বিরতি হলেও বেড়ানোর প্ল্যান বাতিল করে দিয়েছেন বহু সরকারি কর্মী। অনেকেই বেড়াতে গিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়তে চাইছেন না। যার জেরে শেষ সময়ে ছুটি বাতিল করছেন অনেকেই।
এদিকে এসবের জেরে মহা চাপে পড়েছে ট্রাভেল এজেন্টরা। এদিকে দার্জিলিংয়ের অর্থনীতির একটা বড় অংশ নির্ভর করে পর্যটকদের উপর। কিন্তু সেই পর্যটকদের সংখ্যা কমে যাওয়াতে মাথায় হাত অনেকের। এমনকী কিছু ক্ষেত্রে জয়রাইডের টাকা ফেরত পাওয়া যায় না। সেই ক্ষতি স্বীকার করেও বেড়াতে যাওয়ার প্ল্যান বাতিল করছেন অনেকে।
যুদ্ধ হলে অশান্তি হতে পারে এই আশঙ্কা থেকেই ফটাফট বুকিং বাতিল হতে শুরু করে। দার্জিলিংয়ে কোনও অশান্তি হবে না তো, পাহাড়ে গিয়ে বিপদে পড়ব না তো এই সব প্রশ্ন করছেন পর্যটকরা। তার উপর সরকারি কর্মীদের ছুটি বাতিলটা একটা বড় প্রভাব ফেলেছে। যার ফল ভুগতে হচ্ছে দার্জিলিংএর পর্যটন ব্যবসায়ীদের।