SSC-র পর এবার প্রাথমিকে নিয়োগেও দুর্নীতির অভিযোগে দায়ের হয়েছে মামলা। ২০১৪ ও ২০১৭ সালের প্রাথমিক টেটে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলে দাবি চাকরিপ্রার্থীদের। প্রায় ১০,০০০ চাকরিপ্রার্থীকে বঞ্চিত করে অর্থের বিনিময়ে শাসকদলের ঘনিষ্ঠদের চাকরি দেওয়া হয়েছে বলে দাবি। এই নিয়ে যখন নতুন করে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি তখন পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণা থেকে এল চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। তৃণমূলের যুব নেতার বাড়িতে ৪ জন পেয়েছেন প্রাথমিকে চাকরি। আরও ৪ জনের নাম রয়েছে প্যানেলে।অভিযোগ, পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতার তৃণমূলের যুব নেতা সাগর মণ্ডলের পরিবারের ৪ জন ২০১৪ সালের টেটে নিয়োগ পেয়েছেন। আরও ৪ জনের ২০১৭র টেটের মেধাতালিকায় নাম রয়েছে। গড়বেতা ৩ নম্বর ব্লকের যুব নেতা সাগর মণ্ডল স্থানীয় বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতোর ঘনিষ্ঠ বলে এলাকায় পরিচিত। এমনকী প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতাও এলাকায় সুবিদিত। অভিযোগ এলাকায় টাকার বিনিময়ে প্রচুর চাকরি বিক্রি করেছেন তিনি।স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, সাগর মণ্ডলের দিদি, ২ খুড়তুতো ভাই ও বউমা ২০১৪ সালে টেট পাশ করে ২০১৭ সালে নিয়োগ পেয়েছেন তাঁরা। এর পর ২০১৭ সালের টেটের মেধাতালিকায় নাম বেরোয় সাগর মণ্ডলের স্ত্রী, ভাইয়ের স্ত্রী, ভাগ্নে ও ভাগ্নের স্ত্রীর। তবে আদালতের নির্দেশে নিয়োগপ্রক্রিয়া স্থগিত থাকায় তাঁরা এখনো নিয়োগ পাননি।স্থানীয়রা জানিয়েছেন মেটা ডহর বোর্ড প্রাথমিক স্কুলে চাকরি করেন সাগর মণ্ডলের দিদি রুমা মণ্ডল ও খুড়তুতো ভাই শ্যামল মণ্ডল। আরও এক খুড়তুতো ভাই অমল মণ্ডল ভেলায়া প্রাথমিক স্কুলে চাকরি করেন। অমল মণ্ডলের স্ত্রী সাগরবাবুর ভ্রাতৃবধূ মধুমিতা চন্দ দলদলি প্রাথমিক স্কুলে চাকরি করেন। এছাড়াও মেধাতালিকায় নাম রয়েছে সাগরবাবুর স্ত্রী মুনমুন ঘোষ, ভ্রাতৃবধূ প্রিয়াঙ্কা মণ্ডল, দিদি রুমা মণ্ডলের ছেলে সৌরভ ঘোষ ও সৌরভের স্ত্রী পায়েল সাঁইয়ের নাম।প্রাথমিকে নিয়োগে আদালত সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার পর থেকেই সাগরবাবুর মোবাইল ফোন বন্ধ। স্থানীয় বাম যুব নেতা সুমিত অধিকারী জানিয়েছেন, ‘সাগর মণ্ডলের পরিবারের ৪ জন প্রাথমিকে চাকরি পেয়েছেন। আরও ৪ জনের নাম মেধাতালিকায় রয়েছে। এরা কবে ডিএলএড করেছেন আমরা জানি না।’