আসানসোলে বিজেপি নেতার উদ্যোগে কম্বল বিতরণকে কেন্দ্র করে পদপিষ্টের ঘটনা এবার মালদায়। তবে এবার আয়োজক তৃণমূল। বুধবার দলের প্রতিষ্ঠা দিবসে কম্বল বিতরণের অনুষ্ঠানে ইঁটের পাঁজা ভেঙে পড়ে আহত হলেন সাত জন। তবে এযাত্রায় বরাতজোরে কোনও প্রাণহানি ঘটেনি।বুধবার পয়লা জানুয়ারি দলের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে মালদা ২ নম্বর ব্লকের তুলসিহাটায় কম্বল বিতরণ ও খিচুড়ি খাওয়ানোর আয়োজন করেছিল তৃণমূল। আয়োজক ছিলেন ব্লক সভানেত্রী মর্জিনা খাতুন। সভায় কম্বল বিতরণ করেন জেলা তৃণমূল সভাপতি আবদুর রহিম বক্সি? তুলসিহাটা হাই স্কুলের মাঠে আয়োজন করা হয়েছিল অনুষ্ঠানের। সেখানেই কম্বল নিতে কয়েক হাজার মানুষ ভিড় করেন। কে আগে কম্বল নেবেন তা নিয়ে এক সময় ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়ে যায়। পাশেই ইঁটের একটি পাঁজা ছিল। ধাক্কাধাক্কিতে ভেঙে পড়ে সেটি। ইঁটের স্তূপের নীচে চাপা পড়েন ৫ জন মহিলাসহ ৭ জন।সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ময়দানে নামেন স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন তাঁরা।ঘটনার কথা স্বীকার করলেও কারও আহত হওয়ার খবর মানতে চাননি মর্জিনা খাতুন। তিনি বলেন, কম্বল ছিল দেড় হাজার আর মানুষ এসেছিল তিন হাজারের বেশি। ফলে কে আগে কম্বল নেবে তা নিয়ে কিছুটা ধাক্কাধাক্কি হয়। তবে কেউ আহত হননি।গত বছর ১৪ ডিসেম্বর আসানসোলে একটি হিন্দু সংগঠনের ব্যানারে এমনই কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন স্থানীয় বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। সেই অনুষ্ঠানে কিছুক্ষণের জন্য হাজির হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। সেই অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে ১ শিশুসহ ৩ জনের মৃত্যু হয়। সেজন্য জিতেন্দ্র ও চৈতালি তিওয়ারির বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের করেছিল পুলিশ। এই মামলায় রক্ষাকবচ নিতে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার পথে জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে পশ্চিম উত্তর প্রদেশে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। প্রশ্ন উঠছে, মালদার ঘটনায় পুলিশের এই তৎপরতার সিকিভাগও দেখা যাবে কি?