অনেকে বাড়িতে অ্যাকোয়েরিয়াম রাখার শৌখিন। এমন ব্যক্তির বাড়ি থেকে ছোট বা বড়, যে কোনও ধরনেরই হোক না-কেন, একটা না-একটা অ্যাকোয়েরিয়াম থাকবেই। তবে এই অ্যাকোয়েরিয়ামও শুভ-অশুভ ফলাফল দিয়ে থাকে। বাড়ির কোন দিকে, কী ভাবে, অ্যাকোয়েরিয়াম রাখা উচিত, সে বিষয় বাস্তু শাস্ত্রে স্পষ্ট উল্লেখ পাওয়া যায়। বাস্তু মতে, এটি সঠিক স্থানে না-রাখলে নানান সমস্যা দেখা দিতে পারে। বাস্তু ও ফেঙ্গশুই অনুযায়ী অ্যাকোয়েরিয়াম রাখলে বাড়িতে সুখ-সমৃদ্ধি প্রবেশ করে। বাড়িতে কোথায় অ্যাকোয়েরিয়াম রাখা শুভ এবং কোথায় অ্যাকোয়েরিয়াম রাখা অশুভ, জেনে নিন। এদিকে ফিশ অ্যাকোয়েরিয়াম রাখা শুভবাস্তু মতে বাড়িতে রঙীন মাছ রাখা উচিত। এর প্রভাবে বাড়ির সদ্যদের ওপর আগত কোনও সমস্যা কেটে যায়। ফেঙ্গশুই মতে মাছ অর্থকে আকৃষ্ট করে এবং পরিবারের সদস্যদের ওপর আগত সমস্যাকে নিজের মাথায় নিয়ে নেয়। বাস্তু অনুযায়ী বাড়ি বা অফিসের পূর্ব, উত্তর এবং উত্তর-পূর্ব দিকে মাছের অ্যাকোয়েরিয়াম রাখা উচিত। বাড়ির উত্তরের অংশ কেরিয়ারের প্রতিনিধিত্ব করে। পূর্ব দিক থেকে আনন্দের আগমন ঘটে। আবার দাম্পত্য জীবনে পারস্পরিক প্রেম-ভালোবাসা বজায় রাখার জন্য প্রবেশ দ্বারের বাঁ দিকে অ্যাকোয়েরিয়াম রাখা উচিত।এখানে অ্যাকোয়েরিয়াম রাখলে অশুভ ফলাফল পেতে পারেনরান্নাঘর বা শয়নকক্ষে ভুলেও অ্যাকোয়েরিয়াম রাখবেন না। এই স্থানে অ্যাকোয়েরিয়াম রাখলে তা নেতিবাচক শক্তিকে আমন্ত্রণ জানায়। নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর সেই অ্যাকোয়েরিয়ামের জল পাল্টানো উচিত।মাছ মরে গেলে যা করবেনফেঙ্গশুই মতে, অ্যাকোয়েরিয়ামে কোনও মাছ মরে গেলে, সেটি নিজের সঙ্গে সঙ্গে নেতিবাচক শক্তিকেও নিয়ে যায়। তাই অ্যাকোয়েরিয়ামে কোনও মৃত মাছ দেখলে তা বের করে পুকুর বা নদীতে প্রবাহিত করে দিন।যা মনে রাখবেনঅ্যাকোয়েরিয়ামে রাখা জলের সঙ্গে জড়িত বাস্তু নিয়মও মেনে চলা উচিত। নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর অ্যাকোয়েরিয়ামের জল পাল্টাতে থাকুন। এর ফলে এতে উপস্থিত নেতিবাচক শক্তি সমাপ্ত হয়। নিয়মিত জল না-পাল্টালে বাড়িতে নেতিবাচক শক্তির প্রভাব বৃদ্ধি পায় এবং বাড়ির সুখ-শান্তি নষ্ট হয়।