ড্রোনে করে হাসপাতাল থেকে রক্তের নমুনা সংগ্রহ। তারপর ল্যাবে পৌঁছে গেল সেই ড্রোন। শুক্রবার গুরুগ্রামে এমনই এক পাইলট প্রকল্পের সূচনা করল এক বেসরকারি সংস্থা।স্কাই এয়ার মোবিলিটি নামের সংস্থা জানিয়েছে, কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য গুরুগ্রাম ও তার নিকটবর্তী এলাকায় চার দিনের জন্য ট্রায়াল চালানো হবে।প্রথম ট্রায়ালে একটি ড্রোন হুদা মেট্রো স্টেশনের কাছে একটি বেসরকারী হাসপাতাল থেকে নমুনা সংগ্রহ করে। তারপর সেগুলি সেক্টর ১৪-এ এসআরএল ল্যাবসে নিয়ে যায়।আধিকারিকরা জানান, নমুনাগুলি হাসপাতালের ল্যাব টেকনিসিয়ান সংগ্রহ করেন। তারপর ড্রোনের সঙ্গে যুক্ত একটি তাপমাত্রা-নিয়ন্ত্রিত স্টোরেজ বক্সে প্যাক করা হয়। এরপর ড্রোনটিকে একটি পূর্বনির্ধারিত পথে পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়। সেখানকার ল্যাব টেকনিশিয়ান সেটি রিসিভ করেন। ট্রায়ালের জন্য ১০টি রক্তের নমুনা পাঠানো হয়েছিল। নমুনা পাঠানোর সময় হ্রাস করা এর মূল উদ্দেশ্যে। সেই সঙ্গে যানবাহনের ব্যবহার কমিয়ে কার্বন ফুটপ্রিন্ট কমানোও এর লক্ষ্য। তাছাড়া ট্রাফিক এড়ানোর মাধ্যমে দ্রুত ল্যাবে পৌঁছে যাবে স্যাম্পেলগুলি। এমনটাই জানালেন SRL ডায়াগনস্টিকসের সিইও আনন্দ কে৷ড্রোন সংস্থার দাবি, ড্রোনে করে ল্যাবে পৌঁছতে, সড়কপথের এক তৃতীয়াংশ সময় লাগবে। তাছাড়া শীততাপ নিয়ন্ত্রিত বাক্সে স্যাম্পেল থাকে। ফলে রিপোর্ট আরও নির্ভুল হবে। গুরুগ্রামের চিফ মেডিকেল অফিসার (সিএমও) ডাঃ বীরেন্দ্র যাদব বলেন, 'ড্রোনের মাধ্যমে নমুনা পরিবহণ করলে সময় বাঁচতে পারে। তবে নমুনার সুরক্ষা এবং জীবাণুমুক্ত করার বিষয়ে চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এ বিষয়ে নজরদারি করতে হবে।'