বাম জমানায় ত্রিপুরায় কোনও বিধায়ককে পেনশনের সুবিধা পেতে হলে তাঁকে অন্তত বছর চারেক ওই পদে থাকতে হত। এরপর ক্ষমতায় আসার পর সেটা একেবারে কমিয়ে ১দিন করে দেওয়া হয়। এদিকে আচমকাই সেই নিজের করা নিয়মেও বদল ঘটাল ত্রিপুরার বিজেপি সরকার। এবার বিধায়কদের পেনশন সহ অন্যান্য সুবিধা পাওয়ার জন্য ৫ বছরের মেয়াদ পূরণ করাটা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কিন্তু কী এমন হল যে নিজের করা নিয়মেই বদল ঘটিয়েছে বিজেপির পরিচালিত সরকার? তবে এনিয়ে যে প্রশ্নের মুখে পড়তে হবে, একথা একপ্রকার আঁচ করেছিল সরকার। ত্রিপুরার তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী জানিয়ে দেন, এখন থেকে সমস্ত বিধায়ককে এই নিয়ম মানতে হবে। ভবিষ্যতে যারা ভোটে জিতে বিধায়ক হবেন, তাঁদেরও পেনশন ও অন্যান্য ভাতা পেতে এই নিয়ম বাধ্যতামূলক। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, বিধায়কদের নিজের প্রতি দায়িত্ববোধ আরও বৃদ্ধির জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে তবে কী পেনশনের প্রলোভন দেখিয়ে দলীয় বিধায়কদের দলত্যাগ আটকাতে চাইছে বিজেপি সরকার? এদিকে সম্প্রতি ত্রিপুরার বিজেপি বিধায়ক আশিস দাস অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভায় তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। এর জেরেই কি নড়েচড়ে বসেছে বিজেপি পরিচালিত সরকার ! এদিকে বাম আমলে ত্রিপুরায় প্রাক্তন বিধায়কদের পেনশন ছিল ১৭ হাজার ২৫০ টাকা। সঙ্গে প্রাক্তন বিধায়ক ও তাঁর সঙ্গীর চিকিৎসার দায়িত্ব ছিল সরকারের উপর। বিজেপির জমানায় সেই পেনশন বেড়ে দাঁড়ায় ৩৪ হাজার ৫০০ টাকায়। পেনশন পলিসির বদল নিয়ে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের দাবি, আমাদের উত্থানে বিপ্লব দেব সরকারের থরহরি কম্পমান অবস্থা। যতদিন যাবে ততই ভয় বাড়বে।