এবার মুদ্রাস্ফীতির আবহে সামান্য স্বস্তি মিলল। করোনাকালের প্রভাব ভারতীয় অর্থনীতিকে একটা সময় বেশ প্রভাবিত করে তুলেছিল। তারপর মুদ্রাস্ফীতির অঙ্কে আসা সামান্য তৃপ্তিদায়ক পরিস্থিতি। সোমবার প্রকাশিত হয়েছে দেশের ডাব্লিউ পিআই রেটিং। ডাব্লিউ পিআই রেটিং বা পাইকারি মুদ্রাস্ফীতির হারে দেখা গিয়েছে, ডিসেম্বর ২০২২-তে তা ছিল ৪.৯৫ শতাংশ। ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে এই শতাংশ ছিল ৫.৮৫। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ডিসেম্বরে পাইকারি মুদ্রাস্ফীতির শতাংশ ছিল ১৪.২৭।
মুদ্রাস্ফীতির হারের এই কমতি মূলত, জ্বালানির দাম ও খাবারের দামের কমতির নিরিখে উঠে এসেছে। উল্লেখ্য, গত বছরে অগস্ট ও সেপ্টেম্বরের পাইকারি মুদ্রাস্ফীতির হারের তুলনাতেও দেখা গিয়েছে, একই ট্রেন্ড। ২০২২ সালের অগস্ট মাসে পাইকারী মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ১২.৪১ শতাংশ। আর সেপ্টেম্বরে তা কমে দাঁড়িয়েছিল ১০.৭ শতাংশ। সেই ঘটনা দেশের টানা ১৮ মাসের নিরিখে একটি বড় বিষয় ছিল। দেখা গিয়েছিল, তার আগে টানা ১৮ মাস ধরে মুদ্রাস্ফীতি দুই অঙ্কের ঘরে থাকলেও তৎকালীন ১৮ মাসে তাই ছিল সর্বনিম্ন। এরপর ডিসেম্বর ও নভেম্বরের পরিসংখ্যান আরও খানিকটা স্বস্তি দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ডিসেম্বরের যে পরিসংখ্যান উঠে এসেছে, তাতে দেখা গিয়েছে, খাদ্যদ্রব্যে মুদ্রাস্ফীতি (-) ১.২৫ শতাংশ ছিল। জ্বালানি ও বিদ্যুতে এই মুদ্রাস্ফীতি ছিল ১৮.০৯ শতাংশ। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে এই পরিসংখ্যান উঠে এসেছে। উৎপাদন ক্ষেত্রে ডিসেম্বরের পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, মুদ্রাস্ফীতি ছিল ৩.৩৭ শতাংশ। এই তথ্য উঠে এসেছে কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্প সংক্রান্ত মন্ত্রকের তরফে। মন্ত্রক জানাচ্ছে, ডিসেম্বরে ‘প্রাথমিকভাবে মুদ্রাস্ফীতির হারে কমতিতে প্রভাব ফেলেছে, খাদ্য সামগ্রী, খণিজ তেল, অপরিশোধিত পেট্রোলিয়াম ও প্রাকতিক গ্যাস, খাদ্যদ্রব্য, বস্ত্র, রাসায়নিক ও রাসায়নিকজাত পণ্যের দামে কমতির ঘটনা।’ এর আগে ২০২২ সালের মাঝামাঝি অগস্ট-সেপ্টেম্বরে যে মুদ্রাস্ফীতির পাইকারি হারে কমতি দেখা গিয়েছিল, তাতেও এই ফ্যাক্টরগুলি প্রভাব ফেলে। সেই সময়ে বিদ্যুৎ, সাধারণ ধাতুর মতো বিষয়ও মুদ্রাস্ফীতির হারের কমতিতে বড় ফ্যাক্টর ছিল বলে জানানো হয়।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক http://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup