সদ্য ওয়াশিংটনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেমস্কির সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিবাদ, গোটা বিশ্বের নজর কেড়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের মাঝে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সম্পর্ক নিয়েও সমালোচনার ঝড় কম ওঠেনি। তুঙ্গে থাকা সমালোচনার মাঝে এবার মুখ খুললেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। কী বললেন তিনি?
সমালোচনায় অভিযোগ উঠছে, রাশিয়ার প্রতি ট্রাম্পের মনোভাব নিয়ে। অনেকেরই অভিযোগ, এই মনোভাব নরম! এসবের মাঝে ট্রাম্প তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘'ট্রুথ সোশ্যাল'-এ একটি পোস্ট করেছেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘পুতিনকে নিয়ে আমাদের কম ভাবলেও চলবে। আমাদের এর থেকে বেসি ভাব উচিত অভিবাসী ধর্ষণকারী গ্যাং নিয়ে, মাদক সংক্রান্ত হোথাদের নিয়ে, খুনি, এছাড়াও যাঁরা মানসিক সমস্যা সম্পর্কিত প্রতিষ্ঠান থেকে আমাদের দেশে প্রবেশ করছেন তাঁদের নিয়ে-- যাতে আমরা ইউরোপের মতো হয়ে না যাই।’ প্রসঙ্গত, ইউক্রেন, ইউরোপের অংশ। আর এই ইউক্রেন-রুশ যুদ্ধ ঘিরে , ইউক্রেন, সরবভাবে পাশে পেয়েছে বহু ইউরোপীয় দেশকে। তবে সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে ইউরোপের বহু দেশই অভিবাসী, শরণার্থী ঘিরে নানান সমস্যার মুখে পড়ছে। সেই অবস্থায় ট্রাম্পের এই বার্তা খোঁচার শামিল, বলে মনে করছেন অনেকেই।
(March 2025 Rajyog: হোলির মাসে ১৪ মার্চ থেকে ভাগ্য ঘুরতে পারে বহু রাশির! পর পর রাজযোগে পকেট ভরার সম্ভাবনা কাদের?)
( Richest Man in West Bengal: বয়স ৯০ উর্ধ্ব! ইনিই বাংলার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি, রয়েছে কীসের ব্যবসা?)
উল্লেখ্য, আমেরিকার বুকে সদ্য ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিবাদ ও তার পর হোয়াইট হাউস ছেড়ে জেলেনস্কির বেরিয়ে যাওয়া ঘিরে নজিরবিহীন পরিস্থিতি গত শুক্রবারই দেখা গিয়েছে। সেই অবস্থায় রুশ- ইউক্রেন যুদ্ধের ভবিষ্যৎ ও আমেরিকার অবস্থান নিয়ে নানান মহলেই প্রশ্ন উঠেছে। তার আগে, রাষ্ট্রসংঘের সভায় এই যুদ্ধ ইস্যুতে প্রস্তাবের ক্ষেত্রে মার্কিন কূটনৈতিক কৌশলও অনেকেরই নজর কেড়েছে। সদ্য ডেমোক্রেটিস সেনেটার ক্রিস মার্ফি বলেন,' হোয়াইট হাউস ক্রেমলিনের একটি ‘হাত’ হয়ে উঠছে।' তিনি বলেন,'মনে হচ্ছে, একনায়কতন্ত্রীদের সঙ্গে এক হতে চাইছে আমেরিকা।' রাশিয়া নিয়ে ট্রাম্পের অবস্থানেরও বিস্তর সমালোচনা হয়েছে। যদিও ট্রাম্পের রিপাবলিকান পার্টির সদস্যরা সকলেই ট্রাম্প প্রশাসনের সমর্থনে। তাঁরা মনে করছেন, মস্কো-কিয়েভ শান্তি রক্ষার্থে জেলেনস্কির পদত্যাগ জরুরি। যদিও এর আগে, জেলেনস্কি দাবি করেছিলেন যে, তিনি পদত্যাগ করতে রাজি, যদি ইউক্রেনকে ন্যাটোর অংশ করা হয়। এই পরিস্থিতিতে ট্রাম্পের আগামী পদক্ষেপের দিকে তাকিয়ে গোটা বিশ্ব, তথা আমেরিকা।