অশান্ত সিমলা। শৈলশহরে এদিন বেলা গড়াতেই তুঙ্গে উত্তজনা দেখা যায়। এলাকার সঞ্জৌলি মসজিদের অবৈধ নির্মাণের অভিযোগ ঘিরে এদিন বিক্ষোভ দেখা যায় এলাকায়। বহু বিক্ষুব্ধ সিমলার ঢালি এলাকায় জড়ো হন। সেখানে তাঁদের আটকাতে সচেষ্ট হয় পুলিশ। তবে পুলিশি ব্যারিকেড খানিক পর বিক্ষোভকারীরা ভেঙে দেন। তারপরই পুলিশ লাঠি চালাতে বাধ্য হয়। ঘটনা ঘিরে তুঙ্গে ওঠে উত্তেজনা।
রিপোর্টের দাবি, প্রতিবাদীদের মুখে ছিল স্লোগান। তাঁরা বলপূর্বক পুলিশি ব্যারিকেড ভাঙতে আরম্ভ করেন বলে খবর। এরপর তাঁরা ওই মসজিদের দিকে এগিয়ে যেতে শুরু করলেই পুলিশ করে পদক্ষেপ। শুরু হয় লাঠিচার্জ। প্রতিবাদীদের মিছিলের আগে থেকেই সেখানে ব্যাপক পুলিশবাহিনী মোতায়েন ছিল। জেলা প্রশাসন সঞ্জৌলি এলাকায় আজ সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ন্যায় সংহিতার ধারা ১৬৩ লাগু করেছে।
( Viral Comment: কলম্বাসের আগে আমেরিকা পৌঁছেছিলেন ভারতীয়রা-দাবি BJP মন্ত্রীর, ভাস্কো দ্য গামার ভারতে আসা নিয়ে কী বললেন?)
( Jio Phone prima 2: দুর্গাপুজোয় ফোন কেনার প্ল্যান? জিও ফোন প্রাইমা২ পাবেন ৩ হাজার টাকার মধ্যে, রইল ফিচার)
এদিন সকালে সিমলার ঢালি সবজি বাজারের কাছে জমায়েত শুরু হয় প্রতিবাদীদের। এদিকে, ঢালি টানেলের দুই দিকে যাতায়াত রুখে দেয় পুলিশ। এদিকে, নিজের সমর্থকদের নিয়ে সেখানে হাজির হয় হিন্দু জাগরণ মঞ্চ। এই সংগঠনের নেতা কমল গৌতমকে পুলিশ আটক করেছে বলে খবর। কমল গৌতম বলেন, হিন্দু সমাজের আবেগকে নজরে রেখে তিনি হিন্দুদের সমর্থনে সেখানে পৌঁছেছেন। এছাড়াও সিভিল সোসাইটির নামের ব্যানার নিয়ে অনেকেই সঞ্জৌলি এলাকায় পৌঁছন। তাঁদের মুখেও ছিল স্লোগান। এদিকে জেলা পুলিশের ৬ ব্যাটালিয়ান এলাকায় মোতায়েন রয়েছে।
( National Highways Fee Rules 2024: প্রাইভেট গাড়িতে ‘গ্লোবাল নেভিগেশন স্যাটেলাইট সিস্টেম’ থাকলে হাইওয়ে-সফরে বড় ছাড়!)
মসজিদ ঘিরে কোন বিতর্ক?
বেশ কিছু রিপোর্টের দাবি, ২০১০ সালে এই মসজিদ তৈরি শুরু হয়। বলা হচ্ছে, সেখানে আগে ছিল একটি দোকান। বহু নোটিদের পরও মসজিদের পরিধি বেশ কিছু স্কোয়ার ফুট বাড়তে থাকে বলে অভিযোগ। মসজিদের ইমামের দাবি ওই জমি ওয়াকফ বোর্ডের। আর মসজিদের স্থায়িত্ব ১৯৪৭ সাল থেকে বলে তিনি দাবি করেছেন। গত ২০১০ সাল থেকে এই মসজিদ নিয়ে মামলা চলছে। এপর্যন্ত মিউনিসাপল কমিশনারের অফিসে এই মামলার শুনানি চলেছে। ২০১০ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত ৪৫ টি শুনানি হয়েছে বলে খবর।