ভাব্য নইন। ২০১৮ সালে দিল্লি জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষায় পাশ করেন তিনি। ইন্টারভিউ সহ তিন দফায় পরীক্ষায় পাশ করার পরেও চাকরি পাননি তিনি। দিল্লি হাইকোর্ট বিচারক হিসাবে তাঁর নিয়োগপত্র বাতিল করে দিয়েছিল ২০১৯ সালে। এদিকে হাইকোর্টে এনিয়ে চ্যালেঞ্জ করেন তিনি। তবে সেই সময় বলা হয়েছিল তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ। তিনি জুডিসিয়াল অফিসারের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। এরপর শুরু হয় তাঁর নতুন লড়াই। এরপর কেটে গিয়েছে আরও কয়েকটা বছর। অবশেষে সোমবার সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে তাঁকে জুডিসিয়াল অফিসার হিসাবে দিল্লিতে নিয়োগ দিতে হবে। বিচারপতি সঞ্জয় কিষান কাউলের নেতৃত্বে বেঞ্চ জানিয়েছে, রাজধানীর যেকোনও জেলা আদালতে তাঁর জুডিসিয়াল অফিসার হওয়ার ক্ষেত্রে কোনও বাধা নেই। তিনি বিচারক হিসাবে তাঁর দায়িত্ব পালন করতে পারবেন।আসলে সেই ২৫ বছর বয়সে তাঁর বাইপোলার ডিসঅর্ডারের বিষয়টি ধরা পড়েছিল। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মতে বিশ্বব্যাপী নানা অক্ষমতার দিকে ঠেলে দেওয়ার এটা ষষ্ঠতম কারণ হতে পারে। আর সেই মানসিক সমস্যাই কুড়ে কুড়ে খাচ্ছিল নৈনকে। তবে ওষুধ আর কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে তিনি অনেকটাই সেরে উঠেছিলেন। আইনের গ্র্যাজুয়েট নৈন এরপর বিচারক হওয়ার জন্য চেষ্টা শুরু করেন। কিন্তু সেই লড়াইতেও পদে পদে বাধা। তিনি কেন প্রতিবন্ধী কোটার সুযোগ নিয়েছেন তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। তবে আদালত সেই সময় জানিয়েছিল তিনি এই সুযোগ পেতে পারেন। তবে আইনজীবীদের মারফৎ নৈন জানিয়েছেন, উপযুক্ত ওষুধে বাইপোলার ডিসঅর্ডারের সমস্যা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।