ইন্ডিয়া সিমেন্টস লিমিটেডের অংশীদারিত্ব কিনে নিয়েছে আলট্রাটেক। বর্তমানে আলট্রাটেক সিমেন্টের অধীনস্ত সংস্থা হয়ে গিয়েছে ইন্ডিয়া সিমেন্টস। এই আবহে ইন্ডিয়া সিমেন্টসের ভাইস চেয়ারম্যান এবং এমডি পদ থেকে পদত্যাগ করলেন এন শ্রীনিবাসন। তাঁর মেয়ে রূপা গুরুনাথ এবং স্ত্রী চিত্রা শ্রীনিবাসনও ডিরেক্টর পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। এর জেরে ইন্ডিয়া সিমেন্টসের সঙ্গে নিজের প্রায় ৫০ বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করলেন শ্রীনিবাসন। ইন্ডিয়া সিমেন্টস সংস্থাটির সহপ্রতিষ্ঠাতা ছিলেন শ্রীনিবাসনের বাবা টিএস নারায়ণস্বামী। ১৯৪৬ সালে এই সংস্থা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। (আরও পড়ুন: ফ্লাইটে লাগেজ সংক্রান্ত নয়া নীতির প্রস্তাব, যাত্রীদের জন্যে কী বদলে যাচ্ছে?)
আরও পড়ুন: 'ভারতের সেবাদাসী...', হাসিনাকে নিয়ে 'কু-মন্তব্য' জামাত প্রধানের
আরও পড়ুন: সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই গেল, বান্দরবানে ত্রিপুরা পাড়ায় আগুন
বাবা টিএস নারায়ণস্বামীর মৃত্যুর পরে ১৯৬৮ সালে ইন্ডিয়া সিমেন্টসে যোগ দিয়েছিলেন শ্রীনিবাসন। এরপর ১৯৭৯ সালে সংস্থার অন্যান্য বোর্ড সদস্যদের সঙ্গে বিবাদের জেরে অপসারিত হন ডিরেক্টর পদ থেকে। পরে ১৯৮৯ সালে সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর পদে ফিরে আসেন তিনি। সেই সময় ইন্ডিয়া সিমেন্টসের মাত্র ২টি কারখানা ছিল তামিলনাড়ুতে। বছরে সংস্থার উৎপাদন ক্ষমতা ছিল ১৩ লাখ টন। সেখান থেকে ২০২২ সালে ইন্ডিয়া সিমেন্টসের কারখানা সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১০-এ। শ্রীনিবাসনের নেতৃত্বে তামিলনাড়ু ছাড়াও তেলঙ্গানা, অন্ধ্র এবং রাজস্থানে কারখানা খোলে ইন্ডিয়া সিমেন্টস। তাদের উৎপাদন ক্ষমতা বেড়ে দাঁড়ায় ১ কোটি ৫৫ লাখ টন। ২০০২ সালে যেখানে সংস্থার টার্নওভার ছিল ১০৩৩ কোটি টাকা, গত ২০২২ সালে তা বেড়ে হয়েছিল ৫১১২ কোটি টাকা। (আরও পড়ুন: 'আরজি করে নির্যাতিতার যৌনাঙ্গে ভোঁতা বস্তু...', MIMB-র রিপোর্ট CBI-এর কাছে)
আরও পড়ুন: 'সীমান্ত হত্যা' নিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে তোপ, পাচারকারীদের পথ কি সাফ করতে চায় BNP?
জানা গিয়েছে, প্রায় ৪ হাজার কোটির চুক্তির দৌলতে ইন্ডিয়া সিমেন্টস লিমিটেডে আলট্রাটেকের মালিকানা ৫৫ শতাংশ ছাড়িয়ে গিয়েছে। ২০২৪ সালের জুনেই ইন্ডিয়া সিমেন্টসের ২২.৭৭ শতাংশ শেয়ার কিনে নিয়েছিল আলট্রাটেক। সেইসময় প্রতিটি শেয়ারের দাম ছিল ২৬৮ টাকা। পরে ইন্ডিয়া সিমেন্টস লিমিটেডের আরও ৩২.৭২ শতাংশ শেয়ার কিনে নেয় আলট্রাটেক। সেই সময় প্রতিটি শেয়ারের দাম পড়ছে ৩৯০ টাকা। (আরও পড়ুন: সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডে হতবাক বাংলাদেশ! কী হচ্ছে, তা জানেই না ইউনুসের সরকার?)
এদিকে আলট্রাটেক এমন একটা সময় নিজেদের উৎপাদন ক্ষমতা আরও বাড়ানোর পথে হাঁটল, যখন সিমেন্ট শিল্পে টক্কর দেওযার চেষ্টা করছে আদানি গ্রুপ। প্রায় ৫১,০০০ কোটি টাকায় সুইৎজারল্যান্ডের সংস্থা হোলসিমের থেকে অম্বুজা সিমেন্টের অধিগ্রহণ করেছেন গৌতম আদানিরা। রীতিমতো আগ্রাসী পদক্ষেপ নিয়ে ২০২৭-২৮ অর্থবর্ষের মধ্যে বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা বাড়িয়ে ১৪০ মিলিয়ন টনে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে আদানি গোষ্ঠী। প্রতি বছরে আলট্রাটেকের উৎপাদন ক্ষমতা হল ১৫২.৭ মিলিয়ন টন। আলট্রাটেকের ২৪টি ইন্টিগ্রেটেড ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিট আছে। গ্রাউন্ডিং ইউনিটের সংখ্যা হল ৩৩।