
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
১৮ ফেব্রুয়ারি আত্মহত্যা করেছিল ২০ বছর বয়সী ভেটেরিনারি ছাত্র সিদ্ধার্থন। কেরলের ওয়েনাদে একটি কলেজ হোস্টেলের ঘটনা এটি। হোস্টেলেরই টয়লেটের ভিতরে তার মৃতদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। এতদিন পরে সামনে এসেছে এই মৃত্যুর কারণ। জানা গিয়েছে, মৃত শিক্ষার্থী প্রায় ২৯ ঘণ্টা ধরে সিনিয়র ও সহপাঠীদের নির্যাতনের শিকার হয়ে অবশেষে হতাশায় আত্মহত্যা করেছিল।
ওয়েনাদ জেলায় অবস্থিত কলেজ অফ ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমাল সায়েন্সেসের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রের সঙ্গে ঘটেছে ঘটনাটি। কেরল পুলিশের তদন্তে জানা গিয়েছে যে ছাত্রটিকে তার সিনিয়ররা মারাত্মক পরিমাণে র্যাগিং করেছিল এবং তাকে মানসিকভাবে প্রচুর নির্যাতন করা হয়েছিল। তার উপর এতটাই অকথ্য অত্যাচার করা হয়েছিল যে, প্রচণ্ড নির্যাতনের শিকার হয়ে দিকবিদিক জ্ঞান হারিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিল ওই ছাত্র। সত্য প্রকাশ্যে আসার পর ছাত্রের মৃত্যুর তদন্তের দায়িত্ব আপাতত সিবিআই-এর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
পুলিশ নথি থেকে জানা গিয়েছে যে সিদ্ধার্থন ১৬ ফেব্রুয়ারি সকাল সাতটা থেকে ১৭ ফেব্রুয়ারি দুপুর দুটো পর্যন্ত সিনিয়রদের 'নিষ্ঠুর র্যাগিং'-এর শিকার হয়েছিল। হাত ও বেল্ট দিয়ে বেশ কয়েকবার তাকে আক্রমণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। তার সিনিয়রদের কর্মকাণ্ডের কারণে, ছেলেটি পুরোপুরি মানসিকভাবে চাপে পড়ে গিয়েছিল এবং অনুভব করতে শুরু করেছিল যে সে ইনস্টিটিউটে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারবেন না। আবার কোর্স ছেড়ে বাড়িও চলে যেতে পারবে না। এমতাবস্থায় ভুক্তভোগী ছাত্রের মনে হতে থাকে আত্মহত্যা ছাড়া তার আর কোনও উপায় নেই।
এরপর সে ১৮ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১২:৩০ থেকে ১৩:৪৫ টার মধ্যে হোস্টেলের বাথরুমে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছিল। তথ্যমতে, পুলিশ প্রাথমিকভাবে একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করলেও এখনও পর্যন্ত তদন্তে কলেজের অ্যান্টি র্যাগিং স্কোয়াডের দেওয়া প্রতিবেদন এবং কলেজের ডিনের বক্তব্য থেকে বোঝা গিয়েছে, এই মামলাটি মানসিক কারণে ঘটেছে। এটি শারীরিক নির্যাতনের কারণেও ঘটে থাকতে পারে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টেও জানা গিয়েছে যে ছাত্রের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে সবুজ সংকেত পাওয়ার পরেই, শুক্রবার গভীর রাতে ওয়েনাদের ভিথিরি থানায় ২০ জনের বিরুদ্ধে নথিভুক্ত এফআইআর পুনরায় নথিভুক্ত করেছে সিবিআই। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, আত্মহত্যার প্ররোচনা, অন্যায়ভাবে হাত দেওয়া, আঘাত করা এবং কেরলের অ্যান্টি-র্যাগিং আইন সম্পর্কিত আইপিসি ধারায় অধীনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, সিবিআইয়ের তদন্ত শেষ হওয়ার পরে চূড়ান্ত রিপোর্ট আকারে আদালতে যে ফলাফলগুলি জমা দেওয়া হবে তা এফআইআর-এ করা অভিযোগ থেকে সম্পূর্ণ আলাদাও হতে পারে।
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports