তাহলে কি গুঞ্জনই সত্যি হতে চলেছে? সেই প্রশ্নটা কয়েকদিন ধরেই ঘুরপাক খাচ্ছে। তারইমধ্যে সেই জল্পনায় আরও ঘি ঢালল গুলাম নবি আজাদের নয়া মন্তব্য। 'নিজের সত্যিকারের চেহারাটা সকলের সামনে না লুকানোর' জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসা করলেন বর্ষীয়ান নেতা। জম্মুতে ‘বিক্ষুব্ধ’ কংগ্রেসের জি-২৩ বৈঠকের পরদিন একটি অনুষ্ঠানে রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ বলেন, ‘আমি অনেকজন নেতার অনেক কিছু বিষয় পছন্দ করি। আমি গ্রামের হওয়ায় গর্ববোধ করি। আমাদের প্রধানমন্ত্রীও গ্রামের মানুষ এবং চা বিক্রি করতেন। আমরা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হতে পারি। কিন্তু উনি কোনওদিন সত্যিকারের চেহারাটা লুকোননি। যাঁরা সেটা করেন, তাঁরা একটা বলয়ের মধ্যে থাকবেন।’ তিনি আরও জানান, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরেছেন তিনি। পাঁচতারা, সাততারা হোটেলে থেকেছেন। কিন্তু নিজের গ্রামের লোকেদের সঙ্গে থেকেছেন, তখন অমলিন আনন্দ উপভোগ করেছেন।গত বছর কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি সোনিয়া গান্ধীকে একটি খোলা চিঠিতে দলের সাংগঠনিক আমূল পরিবর্তনের সওয়াল করেছিলেন ২৩ জন বর্ষীয়ান নেতা। সেই তালিকায় ছিলেন আজাদও। তা নিয়ে অনেক হইচই হলেও কংগ্রেস রয়ে গিয়েছে কংগ্রেসেই। সেই আবহেই শনিবার জি-২৩ বৈঠক করেন আজাদরা। তার পরদিনই বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদের মন্তব্যে রীতিমতো জল্পনা শুরু হয়েছে। বিশেষত চলতি মাসের গোড়ার দিকে রাজ্যসভায় আজাদের বিদায়বেলায় মোদীর চোখের জলে 'নতুন শুরুর' গুঞ্জন শুরু হয়। এমনকী মোদী জানিয়েছিলেন যে আজাদকে অবসর নিতে দেবেন না তিনি। তাৎপর্যপূর্ণভাবে শনিবার আজাদ বলেছিলেন, ‘আমি রাজ্যসভা থেকে অবসর নিয়েছি, রাজনীতি থেকে নয়।’ তারইমধ্যে আজাদজের গলায় মোদীর প্রশংসা শোনা যাওয়ায় অনেকেই দুইয়ে দুইয়ে চার করে নিচ্ছেন। অধিকাংশের প্রশ্ন, তাহলে কি জম্মু ও কাশ্মীরের কোনও গুরুত্বপূর্ণ পদে আজাদকে বসাতে চলেছে মোদী সরকার।