করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে উপভোক্তাদের জন্য বড় ঘোষণা করল এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশনে (ইপিএফও)। জানানো হল, করোনাভাইরাস বাবদ নিজেদের জমানো টাকার একটি অংশ তুলতে পারবেন উপভোক্তারা। যা ফেরত দেওয়া হবে না। ভারতে করোনা মহামারীর শুরুর পর থেকে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার সেরকম সুযোগ দিয়েছে ইপিএফও। গত বছর মার্চে 'প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনার' আওতায় ইপিএফ উপভোক্তাদের সেই সুযোগ দিয়েছিল কেন্দ্র। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানিয়েছিলেন, প্রায় ছয় কোটি গ্রাহক তাদের তিন মাসের বেসিক পে ও ডিয়ারনেস অ্যালোয়েন্সের (ডিএ) টাকা তুলতে পারবেন। অথবা তাদের পিএফ অ্যাকাউন্টে যত টাকা আছে, তার ৭৫ শতাংশ টাকা তুলতে পারবেন। এই দুটির মধ্যে যেটি কম, সেটাই নিতে পারবেন ইপিএফ সদস্যরা।করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে আবারও সেই সুযোগ দেওয়া হয়েছে। একই শর্ত বজায় রেখে সোমবার একটি বিবৃতিতে ইপিএফওয়ের তরফে জানানো হয়েছে, তিন মাসের বেসিক পে এবং ডিয়ারনেস অ্যালোয়েন্স (মহার্ঘ ভাতা) বা ইপিএফ অ্যাকাউন্টে জমা পড়া অর্থের ৭৫ শতাংশের মধ্যে যেটা কম হবে, তা তুলতে পারবেন উপভোক্তারা। তবে কোনও উপভোক্তা কম টাকা তুলতে চাইলেও পারবেন। সেই টাকা তোলার জন্য ইতিমধ্যে ‘অটোক্লেম সেটেলমেন্ট’ প্রক্রিয়া চালু করেছে ইপিএফও। যে উপভোক্তাদের ‘কেওয়াইসি’ দেওয়া হয়ে গিয়েছে, তাঁরা অবিলম্বে টাকা তোলার জন্য আবেদন জানাতে পারবেন। ইপিএফওয়ের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এমনিতে উপভোক্তাদের টাকা তোলার আর্জি পূরণ হতে ২০ দিনের মতো সময় লাগে। ‘অটোক্লেম সেটেলমেন্ট’ প্রক্রিয়ার ফলে তিনদিনের মধ্যে টাকা পেয়ে যাবেন উপভোক্তারা। মূলত যে কর্মীদের মাসিক বেতন ১৫,০০০ টাকার নীচে, তাঁদের জন্যই সেই সুবিধা দিয়েছে ইপিএফও।